আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দিতে ওয়াজ মাহফিলে শরীফুজ্জামান

ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অধিকার ফিরে পেয়েছি

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দি হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ এশা হাড়োকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। সভাপতিত্ব করেন জনতা ব্যাংক পিএলসি-এর পরিচালক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক যুগ্ম সচিব ড. মো. আব্দুস সবুর। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে রক্তের বিনিময়ে সেই অধিকার ফিরিয়ে এনেছি। এই আন্দোলনে আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে পতিত স্বৈরাচার সরকারের ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি মাহফিলের এই মঞ্চ থেকে সেই শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময় দেশে ইসলামের কথা বলাও যেন অপরাধ ছিল। ওয়াজ মাহফিল করতেও পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন হতো। অধিকাংশ সময় অনুমতি দেয়া হতো না, আর যেখানে অনুমতি মিলেছে, সেখানে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট নেতারা বসে থেকে ঠিক করে দিতো, কী বলা যাবে, আর কী বলা যাবে না। আমরা সেই পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়েছি। আমাদের এই মুক্তিকে ধরে রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের প্রতিহত করতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’ মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা মো. একরামুল হক, দ্বিতীয় বক্তা ছিলেন নূরে ইব্রাহিম। মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বিশ্বাস, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, সাবেক এজিএম (গ্রামীণ ব্যাংক, ঢাকা) ও মাদরাসা কমিটির সভাপতি ডা. রাশেদ আহমেদ রন্টু, হাজি মো. নরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম এবং জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজিজ আহমেদ সুজন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. আমানুল্লাহ আমান, জেলা ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক মো. মিলন, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান, পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহরুখ আহমেদ, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম এবং শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More