আলমডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় আব্দুল কাদের সবুজকে গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় আব্দুল কাদের সবুজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের পর আন্ত:সত্তা হয়ে পড়লে তাকে ভুয়া বিয়ের নাটক সাজিয়ে প্রতারণা করে আসার এক পর্যায়ে ওই নারী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ গতকাল রোববার তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃত আব্দুল কাদের সবুজ উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের ঝড়ু মন্ডলের ছেলে। তিনি আলমডাঙ্গার পশুহাটে স্বর্ণা ফার্মেসি দিয়ে ওষধের ব্যবসা করেন। এজাহার সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হারদী বাগান পাড়ার শাহ আলমের কন্যা শাহনাজ খাতুনের স্বামী জাফর ইকবাল কালু মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত ২৪ সালের এপ্রিল মাসে শাহনাজ আলমডাঙ্গার পশুহাটের স্বর্ণ ফার্মেসিতে ওষধ কিনকে আসেন। এ সময় অন্যান্য ওষধের সাথে তার মাথা ব্যাথার ওষধ চাইলে ফার্মেসি মালিক আব্দুল কাদের সবুজ কৌশলে পিছনে নিয়ে গিয়ে একটি ওষধ দেয়। ওষধটি খাওয়ার সাথে সাথে ওই নারী ঘুমিয়ে পড়েন। দুই ঘন্টা পরে ঘুম ভেঙ্গে দেখেন তাকে সবুজ ধর্ষণ করেছে। সে সময় সবুজ তার ভিডিও ধারণ করে রাখে বলে জানায়। পরে ভিডিও ভাইরাল করে দেবে বলে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। কোন উপায় না পেয়ে তাকে বিয়ের কথা বললে সবুজ ভুয়া কাজী সাজিয়ে একটি কাগজে সহি করিয়ে জানায় তাদের বিয়ে হয়ে গেলো। তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে বললে বিভিন্ন তালবাহানা করে দোকানে নিয়ে গিয়ে নিয়মিত মেলামেশা করতো। এক পর্যায়ে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এরই এক পর্যায়ে গত ২৯ মে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে পুত্র সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। সন্তান প্রসবের পরপরই বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর শুক্রবার শাহনাজ সন্তানসহ বাবার বাড়িতে ফিরে আসলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। তারা সন্তানের পিতৃপরিচয় জানতে চাইলে কালিদাসপুরের আব্দুল কাদের সবুজ তার পিতা বলে পরিচয় দেয়। এ সংবাদ জানার পর সবুজ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে শাহনাজ খাতুন থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ সবুজকে গ্রেফতার করেন। গতকাল তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More