আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা থানার অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার আসামী দামুড়হুদা দলিয়ারপুর গ্রামের মনোয়ার ইসলাম সন্টুকে গ্রেফতার করেছে। গত মঙ্গলবার দিনগত ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মনোয়ার ইসলাম সন্টুকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দলিয়ারপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মনোয়ার ইসলাম সন্টু(৩৪) ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার আসামি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পান বরোজের শলি বিক্রয় করে বাড়ি ফিরছিলেন গাংনী উপজেলার ভাটপাড়ার সোহেল রানা ও দক্ষিণ তেতুলবাড়ির জাহিদুল ইসলাম। সন্টুসহ ৮/১০ জন চুয়াডাঙ্গা গাংনী সড়কের কুলপালা গ্রামের গভীর রাতে রাস্তায় পান বোরজের বাশের শলীর আটি ফেলে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করে। তাদের বেধড়ক পিটিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান (পিপিএম)“র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত কুলপালার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আসামি জাহিদ আলী (৩৫) ও গোপীনগরের বজলুর ছেলে মিলন হোসেন (৩৪) কে গ্রেফতার করেন। এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের নিকট হতে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ১টি লোহার রড ও ১টি ধারালো হেসো উদ্ধার করেন। আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছাপ্রনোদিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। তাদের স্বীকারুক্তি মোতাবেক ডাকাতির সাথে জড়িত গোপীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৮) ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে টিপু সুলতান (৩২), দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের শহর আলীর ছেলে একাধিক মামলার আসামি ডাকাত সর্দ্দার রনিকে গ্রেফতার করে। মনোয়ার ইসলাম সন্টু ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এরই মধ্যে ঈদের আগের রাতে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর সড়কে গাছ ফেলে পরিবহন ডাকাতির চেষ্টা করে সন্টুসহ তাদের দলের ডাকাত সদস্যরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান (পিপিএম)“র নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানার এসআই নিয়ামুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে সন্টুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর সন্টু চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টার কথা স্বীকার করে বলে জানা যায়। তাকে গতকালই জেলহাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.