আলমডাঙ্গা হাটুভাঙ্গা গ্রামে মায়ের ওপর অভিমান করে তরুণীর আত্মহত্যা

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: মায়ের ওপর অভিমান করে আলমডাঙ্গা হাটুভাঙ্গা গ্রামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার রাতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত শারমিন আক্তার রানু (২২) হাটুভাঙ্গা গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে তিনি স্থানীয় একটি এনজিওতে চাকরি করতেন। শারমিন আক্তার রানুর মা রাশিদা বেগম জানান, সোমবার রাতে পড়াশোনা ও চাকরির বিষয় নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি ও দুজনের মনোমালিন্য হয়। সোমবার রাতে একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রানু ঘরে ঘুমাতে যায়। রাত ৩টার দিকে আমি প্রস্রাব করার জন্য উঠি। রানুর ঘরের জানালা দিয়ে দেখি সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এসময় আমার চিৎকার ও কান্নার শব্দে প্রতিবেশীরা এসে রানুর লাশ নিচে নামায়। নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, দু’বছর আগে রানু ভালোবেসে পার্শ্ববর্তী মোড়ভাঙ্গা গ্রামের এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে করেন। ছয় মাসের মধ্যে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই রানু বাবার বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি এনজিওতে শিক্ষা প্রোগ্রামে চাকরি ও টিউশনি করতেন। সে শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রী ছিল। আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাথাভাঙ্গাকে জানান, খবর পেয়ে হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্প আইসি এসআই হাফিজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মায়ের ওপর অভিমান করে এ ঘটনা থাকতে পারে। মেয়েটির পিতা মনির উদ্দিন বলেছেন তার মেয়ের মাথায় সমস্যা ছিল। কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বাদ আছর নামাজে জানাজা শেষে হাটবোয়ালিয়া হাটুভাঙ্গা কবরস্থানে মরহুমার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More