ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে মানুষ শহরের সকল সেবা ভোগ করছে

চুয়াডাঙ্গায় ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সেবা ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের জেলার শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা হিসেবে পুরষ্কার পেলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আল হেলাল। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল সেন্টারের ১১বর্ষপুর্তি উদযাপন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সেবা ক্যাম্পেইন-২০২১ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো, নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে এ পুরষ্কার তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। ৭৫এর ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে হত্যার পর তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি। তার স্বপ্ন পূরনের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছে। এ দেশের মানুষ কোনো কাজ করতে হলে সময় নষ্ট ও পকেটের টাকা খরচ করে শহরে যেতো। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ১১বছর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেন। এর মাধ্যমে গ্রামের মানুষ পকেটের টাকা খরচ ও সময় নষ্ট না করে ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে এসে পেত। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ইন্টারনেট সুবিধা গ্রামে বসেই পাচ্ছে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে মানুষ শহরের সকল সুবিধা ভোগ করছে। এখন আর খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের মানুষকে শহরে আসতে হয় না। বিশ^ এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এসপায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে মাসব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সেবা ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেন। চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম মালিক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সাজিয়া আফরিন। শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা নির্বাচিত হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের উদ্যোক্তা আল হেলাল ও দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা সালমা খাতুন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় প্রত্যেককে ১০হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More