এবার ৩য় স্ত্রীর অভিযোগ কেশবপুরের প্রবাসী রেজাউলের বিরুদ্ধে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কেশবপুর গ্রামের প্রবাসী রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে পঞ্চম স্ত্রীর অর্ধকোটি টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের পর এবার তার তৃতীয় স্ত্রী নুরজাহান খাতুন থানায় আরেকটি অভিযোগ করেছেন। ৮ বছর আগে প্রতারণার মাধ্যমে বগুড়ার শেরপুরের ওই নারীর সাথে বিয়ের পর যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে এক মাস পর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রেজাউল। দীর্ঘদিন বিদেশ থেকে ফিরে আসায় রেজাউলের অনৈতিক কাজের বিচার চেয়ে থানায় এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, আলমডাঙ্গার কেশবপুর গ্রামের আবু বক্কর ম-লের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রেজাউল ৮ বছর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বেতগাড়ি মধ্যপাড়ার মৃত মোখছেদ আলীর মেয়ে নুর জাহান খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে বাপেরবাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা এনে রেজাউলকে দেন। এরপরই নুর জাহান জানতে পারেন রেজাউল ইসলাম ইতঃপূর্বে আরও দুটো বিয়ে করেছেন। বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আবার বিদেশ চলে যান। পরে নুরজাহানের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।  বন্ধ করে দেন ভরণপোষণ।

গত ২৫ নভেম্বর রেজাউলের দেশে ফেরার সংবাদ পেয়ে নুরজাহান খাতুন আলমডাঙ্গায় এসে থানায় অভিযোগ করেছেন।

এদিকে রেজাউল ইসলামের পঞ্চম স্ত্রী রিনা খাতুন তার স্বামীর প্রতারণার বিচার চেয়েছেন। তিনি গত পরশু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি করেন, ২০১৫ সালে রেজাউলের সাথে বিয়ের আগে তার কাছে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ছিলো। ওই টাকা রেজাউল কৌশলে হাতিয়ে নেন। ২০১৬ সালে রেজাউল রিনাকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে একটি রেস্টুরেন্ট করতে রিনার কাছ থেকে তার গচ্ছিত ১৭ লাখ টাকা নিয়ে নেন রেজাউল। করোনা মহামারী শুরু হলে রেজাউল রেস্টুরেন্ট রিনার কাছে দিয়ে আদম ব্যবসা ও নারী সাপ্লাইয়ের কাজ শুরু করে। তার মূল নেশা ছিল নারী। রেজাউলের মোট ৬টি বিয়ের খবর তিনি জানতে পারেন। এসব নিয়ে তার ওপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন। এক পর্যায়ে তার শিশুপুত্রকে  অপহরণ করে তার কাছ ৩০ লাখ টাকা আদায় করে।

রিনা জানান, আলমডাঙ্গার মাদরাসাপাড়ার টিনশেডের যে বাড়িটি তিনি ৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন সেটা ২০২১ সালে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে। এছাড়াও রেজাউল নওলামারী থেকে চার জনকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতো অত্যাচার ও নির্যাতনের পরও রেজাউলের সাথে তিনি সংসার করতে চেয়েছিলেন। গত নভেম্বরের ২৫ তারিখে দেশে এসে রেজাউলকে সাথে নিয়েই তিনি তার বাপের বাড়ি নওলামারীতে যান। কয়েকদিন সেখানে থাকার পর রেজাউল তার সোনার গয়না ও নগদ এক লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে চলে যান। পরে রিনা খাতুনের নামে উল্টো থানায় কোটি টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More