শোভাযাত্রাটি শহরের দোয়েল চত্বর, কোর্ট রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড, বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বর, শহীদ আবুল কাশেম সড়ক, পৌরসভা মোড়, কবরী রোড, কলেজ রোড হয়ে পুনরায় সাহিত্য পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রার অগ্রভাগ যখন শহীদ হাসান চত্বর পার হচ্ছিল, তখনও এর শেষভাগ কোর্ট মোড়ের দোয়েল চত্বরে ছিলো। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে পুরো চুয়াডাঙ্গা শহর ধানের শীষের এবং বিএনপির বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। এ সময় শোভাযাত্রার সামনে থাকা মো: শরীফুজ্জামান শরীফ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: শরীফুজ্জামান শরীফ দিবসটির তাৎপর্য ও বিএনপির নীতি অনুসরণ করে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর কোনো সাধারণ দিন নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট। এই দিনে আমাদের গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের ক্রান্তিলগ্নে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার চেতনাকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। এই দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সংহতি, জাতীয়তাবাদ এবং জনগণের সার্বভৌমত্বই আমাদের মূলনীতি।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করছি, সেই চেতনার বীজ বপন হয়েছিল এই দিনেই। আমরা ভোট দিয়ে আমাদের পছন্দের নেতৃত্বের প্রতিফলন ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচারী সরকারের কারণে সমস্ত অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি সেই অধিকার পুনরুদ্ধারের বার্তা নিয়ে। আমাদের নেতা তারেক রহমান সেই কারণেই ৩১ দফা কর্মসূচী দিয়েছেন, যা এই দেশের কৃষক, শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির দলিল। শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে আমরা আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের লক্ষ্য—আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করে একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা ‘
দিনব্যাপী কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল মানবিক দিক। মাগরিবের নামাজের পর চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, ভ্যানচালক, খেটে খাওয়া মানুষ ও অসহায় দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন মো: শরীফুজ্জামান শরীফ। এছাড়া নেতা-কর্মীরা চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার বিতরণের মধ্যদিয়ে দিনটি উৎযাপন করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.