করোনা উপসর্গে আরো ১৬ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর, কুমিল্লা, পাবনা, বগুড়ার আদমদীঘি, নোয়াখালীর কবিরহাট ও পিরোজপুরের ভা-ারিয়ায় আরো ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঁচজন এবং নিজ নিজ বাড়িতে মারা গেছেন দুজন।
কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। তাদের দুজন আইসিইউতে, অন্য তিনজন আইসোলেশনে মারা যান। এদিকে গতকাল সোমবার সকালে ব্রাহ্মণপাড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এক পল্লী চিকিৎসক। তার বাড়ি উপজেলার নাগাইশ গ্রামে। একই দিন বিকেলে জেলার বরুড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান আরেক ব্যক্তি। তারা দুজনই কয়েক দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
চাঁদপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে মারা যান। চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে এই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। উৎপল পাবনা পৌর এলাকার শালগাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সালেহ মুহাম্মাদ আলী জানান, রবিবার সকালে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
আদমদীঘিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক গার্মেন্টকর্মীর (৫০) মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের উথরাইল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত রোববার রাতে কর্মস্থল ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন। বাড়িতে ফিরে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ওই রাতেই তিনি মারা যান। ভা-ারিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সবজি বিক্রেতা এক বৃদ্ধ (৬১) মারা গেছেন। গত রোববার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে ওই বৃদ্ধ মারা যান। তিনি চার দিন ধরে সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন।
কবিরহাটের নরোত্তমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা (৪৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More