জীবননগর ব্যুরো: করোনা ভাইরাসের মধ্যে উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের দুই বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাত দল দরিদ্র কৃষক হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হানা দিয়ে অর্থ, অলঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। মাত্র ১ মাস পূর্বে যাদবপুর গ্রাম থেকে উঠে এসে নারায়ণপুর গ্রামে প্রবেশের মুখে টিনের বেড়া ও ছাউনী দিয়ে দুই কামরার একটি ছাপড়া ঘর নির্মাণ করেছেন তিনি। ডাকাতদল কী উদ্দেশ্যে দরিদ্র হাবিবুরের বাড়িতে হানা দিলো তা নিয়ে অবশ্য রহস্যর সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, রাত্রিকালিন ডিউটিতে থাকা পুলিশের মাত্র ২০ গজ দূরে এ ডাকাতি সংঘটিত হয়। সীমান্ত ব্রীকসের গোলঘরে প্রায় দিনই পুলিশ ডিউটি করে থাকেন। ওই দিন রাতে পুলিশ গোল ঘরে ডিউটিতে ছিলো। তবে পুলিশ টহল ডিউটির কথা স্বীকার করলেও ঘটনাটি বুঝতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
গৃহকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, গত ২২ দিন পূর্বে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নারায়ণপুর গ্রামে নবনির্মিত বাড়িতে তিনি বসবাস শুরু করেন। এর পূর্বে তিনি পাশর্^বর্তী যাদবপুর গ্রামের পিতার বসতভিটায় বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ও তার স্ত্রী বাড়ির বারান্দায় শুয়ে পড়েন। দুই কামরার ঘরে একটিতে ছেলে ও তার স্ত্রী এবং অন্য একটি ঘরে বৃদ্ধ মা ও তার মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ধারালো হাসুয়া নিয়ে ১৭-১৮ জনের সশস্ত্র একদল ডাকাত বাড়ির ভেতর ঢুকে তাকে ও তার স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পরিবারের সকলকে একটি ঘরে মধ্যে নিয়ে অস্ত্রের মুখে আটকে রাখে। প্রায় আধা ঘণ্টা ডাকাতরা ঘরে তন্ন-তন্ন করে তল্লাসী করে এবং সাব-বাক্স ভেঙে নগদ ১২ হাজার টাকা, স্বর্ণের দুই জোড়া কানের দুল, একটি আংটি, দুইটি মোবাইল ও কয়েকটি নকশী কাঁথাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা প্রথমে নারায়ণপুর গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহর বাড়িতে হানা দেয়; কিন্তু ক্লপসিবল গেটের তালা ভাংতে ব্যর্থ হয়ে চলে যায়। পরে ডাকাতরা পাশ্ববর্তী হাবিবুরের বাড়িতে ডাকাতি করে। তবে দাকাত দল দরিদ্র হাবিবুরের বাড়িতে কী উদ্দেশ্যে ডাকাতি করতে গেছে তা নিয়ে অবশ্য গ্রামে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও গ্রামবাসী জানান, একই স্থানে এর পূর্বে এক মাসের মধ্যে আরো ৩ বার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ফলে স্থানটিতে রাত নামলেই ডাকাতির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রাতেই পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এই ব্যাপারে থানায় এখ নপর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।