কানাডায় নিখোঁজের ১৮ দিন পর কালীগঞ্জের মেধাবী ছাত্রের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কানাডার মালিতোবার বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামিউজ্জামান সাকিব। ওই কলেজে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ৪র্থ বর্ষে লেখাপড়া করতেন। হঠাৎই গত ৯ জানুয়ারি নিখোঁজ হন সাকিব। বিষয়টি তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক শিক্ষক পুলিশকে জানান। এরপর কানাডিয়ান পুলিশের তৎপরতায় বুধবার সাকিবের মরদেহ কলেজের পাশের একটি লেকের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি বুধবার রাতে কানাডিয়ান পুলিশ মোবাইলে সাকিবের বাবাকে নিশ্চিত করেছেন বলে নিহতের পারিবার জানিয়েছে। সাকিব ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের উল্যা গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদের ছোট ছেলে। বাবা আসাদুজ্জামান জানান, কালীগঞ্জের নলডাঙ্গা ভূষণ হাইস্কুল থেকে জেএসসি পাশের পর ঢাকার রেসিডিয়ান্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি হয় আসাদ। এরপর ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই ২০১৪ সালে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এসএসসিতে জিপিএ- ৫ ও ২০১৬ সালে এইচএসসিতে জিপিএ- ৫ পায় সাকিব। এরপর কানাডার মালিতোবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভতি হয় সে। তিনি বলেন, কলেজের কাছেই একটি বাসায় রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো সাকিব। আশপাশে কয়েকটি রুমে কিছু বাংলাদেশি ও ভারতীয়রা থাকতো। হঠাৎ গত ৯ জানুয়ারি থেকে পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো না সাকিবের। পরবর্তীতে তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানানোর পর কানাডিয়ান পুলিশ বুধবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের নির্জন এক লেকের পাশ থেকে সাকিবের লাশ উদ্ধার করে। পরে বুধবার রাতেই কানাডিয়ান পুলিশ মোবাইলের মাধ্যমে আমাকে নিশ্চিত করে বিষয়টি। লাশ এখনও পুলিশ হেফাজতে আছে। কাঁদতে কাঁদতে আসাদুজ্জামান আরও বলেন, বড় ছেলে হাসিবুজ্জামানকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করিয়েছি। বড় ভাইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেও বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে বলেছিল। এমন শখের কারণে তাকে কানাডায় পাঠিয়েছিলাম। এখন আমার সব শেষ। বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More