কুষ্টিয়ায় করোনায় মৃত্যুর মিছিলে আরও ৬

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন থেকে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৫, কুমারখালীতে ৪৩, দৌলতপুরে ৪৩, ভেড়ামারায় ১৮, মিরপুরে ২৯ এবং খোকসা উপজেলায় ৫জন। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৩.৩০ শতাংশ হয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১৪ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২০০ বেডে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছেন ২২৬ জন। তাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৮০ জন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। ৭০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আকরামুজ্জামান মিন্টু বলেন, হাসপাতালে ২০০ শতাধিক পয়েন্টে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ১৭টি হাই ফ্লো-নাজাল ক্যানোল চালু রয়েছে। বেশি গুরুতর রোগীদের জন্য আলাদাভাবে পেয়িং ওয়ার্ডে রাখা হয়। ঈদ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রোগী বাড়লেও চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ভর্তির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এএসএম মুসা কবিরের বলেন, গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি আরও বাড়াতে হবে। উপসর্গ নিয়ে কেউ যেনো বাড়িতে বসে না থাকেন। তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো সম্ভব নয়। চিকিৎসা নিতে যতো দেরি হবে মৃত্যুর ঝুঁকি ততো বাড়বে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More