কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৯ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবাররাত আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ভাগজোত ঘাট এলাকায় একটি নৌকায় সন্দেহভাজন অবস্থায় ৯ জনকে দেখতে পান। পরে তাদের হেফাজতে নিয়ে বিকেলের দিকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ব্যক্তিরা দুইটি পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ২ জন নারী, ২ জন কিশোরী ও একজন ছেলে শিশু রয়েছে। তারা কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী থানার বাসিন্দা। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রায় চার বছর আগে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে দিল্লীর একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় এবং আত্মসমর্পণকারীদের হয়রানি না করার সরকারি ঘোষণার প্রেক্ষিতে তারা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় বিজিবি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় থানা ও বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সীমান্ত পিলার ৮৫/১০-এস এর কাছে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি পুশ-ইনের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানায়। কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, “বিএসএফ তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে আরেকটি পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে হলে তা যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে আইনগত প্রক্রিয়া মেনে করতে হয়। কিন্তু এই ঘটনায় বিএসএফ তা না করে সরাসরি পুশ-ইন করেছে, যা আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘনের শামিল বলছে বিজিবি। তাদের হেফাজতে নেওয়ার পর ৯ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে তারা সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “ এটা আমার জানা নাই। আমি মিটিংয়ে কুষ্টিয়ায় আছি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More