গাংনীতে ইবি ছাত্রী গৃহবধু উর্মিকে হত্যার অভিযোগে স্বামী শ্বশুর জেলহাজতে

 

গাংনী প্রতিনিধি: গাংনীতে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রী নিশাত তাসনীম উর্মি (২৪) হত্যার অভিযোগে তার স্বামী আফাকুজ্জামান প্রিন্স ও শ^শুর হাসেম শাহের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। উর্মির পিতার দায়ের করা মামলায় তাদেরকে জেলহাজতে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার মেহেরপুর আদালতে তাদের জামিন আবেদন করা হয়েছিলো বলে জানায় পুলিশ। এদিকে উর্মির মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে তার স্বামী ও শ^শুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

পুলিশসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর বাড়িতে হত্যাকা-ের শিকারের অভিযোগে উর্মির পিতা গোলাম কিবরিয়া গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামী করা হয়েছে স্বামী প্রিন্স, প্রিন্সের পিতা হাসেম শাহ ও প্রিন্সের মা  রিক্তা খাতুনকে। শুক্রবার সকালে প্রিন্স ও তার পিতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আর আত্মগোপন করেন প্রিন্সের মা। তাকে গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, উর্মির পিতার দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার প্রিন্স ও হাসেম শাহকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিলো। গতকাল তাদের জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত না মঞ্জুর করে তাদেরকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ বহাল রেখেছেন। গৃহবধুর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য যেমনি ময়নাতদন্ত রির্পোটের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে তেমনি আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই বিজ্ঞ আদালতের কাছে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

গাংনী থানাসূত্রে জানা গেছে, আলোচিত এই ঘটনার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। পাশাপাশি মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতার এবং এই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গাংনীর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ও চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লায়লা আরজুমান বানুর বড় মেয়ে নিশাত শারমিন উর্মির বিয়ে হয় গাংনীর কাথুলী মোড়পাড়ার ব্যবসায়ী হাসেম শাহের ছেলে প্রিন্সের সাথে। প্রিন্স কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ আর উর্মি ইবিতে অধ্যায়নরত। তাদের ১৩ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উর্মিকে পিটিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তার পরিবার। এমন অভিযোগে তাদের নামে মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More