গাংনীর পল্লীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু : মরদেহ ময়নাতদন্ত

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর কসবা গ্রামে শিখা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। স্বামী ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন দাবি করেছেন শিখা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে শিখার ভাবী নাসিমা খাতুন দাবি করেছেন, শিখাকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। পলাতক রয়েছে শিখার স্বামীর পরিবারের লোকজন। শিখা মেহেরপুর সদরের বাজিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।

শিখার বড় ভাবী নাসিমা খাতুন জানান, কসবা গ্রামের ইমাদুলের ছেলে জুয়েলের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক করে শিখার বিয়ে হয় ১০ মাস আগে। সেসময় যৌতুক হিসেবে দেয়া হয় ২ লাখ টাকা। এরপরেও শ্বশুর শাশুড়ি কুনজরে দেখতো শিখাকে। মাঝে মাঝে শারীরিক নির্যাতন করা হতো তাকে। সম্প্রতি আবারও যৌতুকের জন্য চাপ দেয়া হয় শিখাকে। এ দাবি মেনে নিয়ে পিতার বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তুলে দেন স্বামী জুয়েলের হাতে। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা কমেনি শিখার উপর থেকে। অবশেষে শনিবার সকালে খবর দেয়া হয় শিখা ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটি নিছক ষড়যন্ত্র। শিখাকে গলা টিপে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুয়েলের প্রতিবেশীরা জানান, সকালে জুয়েলের বাড়ির লোকজন জানায় শিখা গলায় ফাঁস লাগিয়েছে। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে তারা এগিয়ে এসে শিখাকে জীবিত দেখতে পান। এর কিছুক্ষণ পর শিখা মারা যায়। এর পরপরই স্বামীসহ বাড়ির সকলেই পালিয়ে যায়। তবে শিখার উপর নির্যাতনের বর্ণনাও দেন তারা।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে। মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে জুয়েল আরও দুটি বিয়ে করে। নির্যাতনের কারণে তারাও জুয়েলকে তালাক প্রদান করে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More