স্টাফ রিপোর্টার:রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় দুই শিক্ষার্থী প্রতিবেশী চাচাতো ভাই জুবায়ের ও লিমন স্কুল থেকে ফিরে বই-খাতা রেখে ভৈরব নদীতে গোসল করতে যায়। সেখানে পাট জাক দেওয়া(পাট পচানো)রজাকের উপর দু-জন খেলতে খেলতে একজন পানিতে পড়ে গেলে অপরজন তাকে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু-জনই পানির তলে তলিয়ে যায়।ভৈরব নদীর পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া কয়েকজন পথচারী এ বিষয়টি দেখে দু শিক্ষার্থীর পরিবারের খবর দেয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। পানির স্রোত আর কুল ছাপানো পানিতে দু- শিশু শিক্ষার্থী তলিয়ে যায়। নিকট আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে প্রায়ই হাফ কিলোমিটার দূরে ভৈরব নদীতে ছুটে গিয়ে তাদের খুঁজতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর দু শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে মুক্তারপুর বাজার পাড়ার জুয়েলের পুত্র জুবায়ের (৬)স্থানীয় কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং একই পাড়ার সজীবের পুত্র লিমন (৭) কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীতে পড়তো। প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে স্কুল শেষে প্রতিবেশী দু-চাচাতো ভাই লিমন ও জুবায়ের নদীতে গোসল করতে যাই। গোসল করতে গেলে সেখানে ঘটে বিপত্তি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু-শিক্ষার্থীর মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। দু-শিশুর মরদেহ বাড়িতে আনার পর শিশু শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা ও স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দু-শিশু শিক্ষার্থীর দাফনের প্রস্তুতি চলছিল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.