স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গার পথশিশু আব্দুল খালেক (১২)-এর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং সে তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে পেরেছে।
গত কয়েকদিন আগে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল এক পথশিশু। তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির নাম প্রাথমিকভাবে অনিক জানা গেলেও তার আসল নাম আব্দুল খালেক, বাড়ি খুলনার ইউনিভার্সিটি এলাকার পেছনে। দৈনিক মাথাভাঙ্গায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।
পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা-এর নির্দেশে মানবিক উদ্যোগে শুরু হয় শিশুটির পরিচয় শনাক্তকরণের কাজ। দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে শিশুটির পরিবারকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
খবর পেয়েই আব্দুল খালেকের মা জেসমিন বেগম (৩৫) এবং খালা মীম আক্তার (৩০) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন। শিশুটির বাবা খরসু শেখ (৪০) ও মা জেসমিন বেগম জানান “আমরা খুব গরীব মানুষ। আমার ছেলেটা কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় আমরা আমাদের সন্তানকে খুঁজে পাই। আমরা এতটাই অসহায় যে হাসপাতালে আসার ভাড়াটাও জোগাড় করতে কষ্ট হয়েছে। পুলিশ সুপারের এই মানবিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা বলেন “পুলিশ শুধু অপরাধ দমন নয়, মানবিক সেবার দায়িত্বও পালন করে। অনিকের (আব্দুল খালেক) মতো অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সমাজের সবাইকে আহ্বান জানাই— যেখানেই কোনো পথশিশু বা অসহায় মানুষ দেখবেন, সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে জানান।
সমাজের মানুষের কাছে অনুরোধ যতটুকু পারেন আমাদেরকে সহযোগিতা জানিয়েছেন আব্দুল খালেক এর পরিবার।
অসহায় এই পরিবারটিকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে: ০১৬১৮২৭৫৭৩২।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.