স্ইাদুর রহমান: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর মহাসড়কের আলুকদিয়া মসজিদের সামনে সড়কের পাশে গাছ কাটার ফলে বড় গর্ত বর্তমানে পথচারী ও যানবাহনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা পরিষদের উদ্যোগে কিছুদিন আগে টেন্ডারের মাধ্যমে ওই স্থানে একটি বিশাল কড়ই গাছ কাটা হলেও, গাছ কাটার পর সৃষ্ট গর্তটি এখনো ভরাট করা হয়নি। ফলে মহাসড়কের ওই গুরুত্বপূর্ণ অংশে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েই চলেছে।
স্থানীয়রা জানান, গাছ কাটার পর পরই ভরাটের কাজ সম্পন্ন না করায় গর্তটি সময়ের সঙ্গে আরও বড় ও গভীর হয়ে উঠেছে। এখন তা এতটাই ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে যে, বিশেষ করে রাতে ও বৃষ্টির সময় চলাচলকারী যানবাহন এবং মোটরসাইকেল চালকদের জন্য এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
একজন স্থানীয় দোকানদার বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। বড় গর্ত থাকার কারণে এখনো পর্যন্ত ছোটখাটো কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আল্লাহ না করুন, একদিন বড় দুর্ঘটনা ঘটলে তখন কে দায় নেবে।
স্থানীয় ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চালকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়ক বিভাগ কিংবা জেলা পরিষদ উভয়েই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে না। তাদের বক্তব্য, গাছ কাটার কাজ শেষ করার পরই জায়গাটি যথাযথভাবে ভরাট ও মেরামত করা উচিত ছিল। বর্তমানে গর্তটি কেবল যান চলাচলকে ব্যাহত করছে না, বরং স্থানীয়দের জন্যও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, গর্তটি দ্রুত ভরাট করে পুনঃনির্মাণ করতে হবে। প্রয়োজনে সড়ক বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করলেও কেবল গাছ কেটেই দায়িত্ব শেষ করে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে গর্তটি গত এক সপ্তাহ ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের কোনো কর্মকর্তা কিংবা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জনসাধারণের জোরালো দাবির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হোক, যেন জননিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সড়কটি আগের মতো সচল ও নিরাপদ থাকে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.