চুয়াডাঙ্গার কুকিয়াচাঁদপুরে পৈতৃক জমিজমা বিরোধের জের: উভয়পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৫, থানায় অভিযোগ 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুকিয়াচাঁদপুরে পৈতৃক জমিজমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৫ জখম আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।  গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুকিয়াচাঁদপুর গ্রামের স্কুলপাড়ায় এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কুকিয়াচাঁদপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার কাশেদ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩৪), একই এলাকার মৃত খোকাইয়ের ছেলে রমজান আলী (৫০), তার স্ত্রী রুশিনা খাতুন (৪৫), ও ছেলে জাকির হোসেন (২৯) ও প্রতিবেশী আইজালের স্ত্রী ছখিনা খাতুন ( ৪০)।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গ্রামের মৃত খোকাইয়ের রেখে যাওয়া জমিজমা নিয়ে সেজো ছেলে রমজান আলী ও মেজো ছেলে কাশেদ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।  এতে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিবেশী সখিনা খাতুনসহ ৫ জন আহত হয়।
জখম হাফিজুর বলেন, দাদার সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারার জন্য আমিন ডেকে আনা হয়। জমি পরিমাপের সময় আমার চাচা রমজান তার ছেলে জাকির হোসেনসহ কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। এসময় জাকিরের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে আমার হাতে কোপ মেরে জখম করে।’
এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘জমি পরিমাপের সময় চাচাতো ভাই হাফিজুল আমাদেরকে গালি-গালাজ করতে থাকে। আমার বাবা গালি দিতে নিষেধ করলে হাফিজুল বাবাকে স্যান্ডেল দিয়ে আঘাত করে। এসময় আমি ঠেকাতে হাফিজুলের হতে আঘাত লাগে। আমার বাবা ও মা ঠেকাতে এলে তারাও আহত হন। একই সময় প্রতিবেশী ছকিনা বেগম ঠেকাতে গেলে তার হাতে কোপ লাগে। ছকিনা খাতুন স্থানীয়ভাবে চিকিতসা নেন বলে জানা গেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আক্তার বলেন, আহতদের মধ্যে হাফিজুলের হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  এছাড়া বাকিরা জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে। রাতেই আহত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More