চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ইউনিয়নে ওএমএস’র ডিলারশীপ পেতে আবেদনকারীদের দৌঁড়ঝাপ

বেগমপুর প্রতিনিধি: সরকারি চাল কম দেবার অভিযোগে ডিলারশীপ ও জামানত হারায় তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগ কমিটির ১নং সদস্য হায়দার মল্লিক। ফলে ডিলার শূন্য হয় চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে ডিলারশীপ পেতে এরই মধ্যে ৭ জন আবেদন করেছেন। ইউনিয়নবাসীর প্রশ্ন ডিলারশীপ কি দলীয় বিবেচনায় না কি নীতিমালা মেনে নিয়োগ দিবেন কর্তৃপক্ষ। দলীয় বিবেচনায় ডিলার নিয়োগ দেয়া হলে ঘটনার পুনারাবৃত্তি হতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। তাই সঠিক তদন্তপূর্বক আবেদনকারীদের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তি যেনো ডিলারশীপ পায় তার দাবি জানিয়েছে ইউনিয়নবাসী।
জানাগেছে, গত ১২ এপ্রিল সরকারি ওএমএস’র চাল কার্ডধারীদের মধ্যে মাপে কম দেয়ার অভিযোগ ওঠে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের ডিলার তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগ কমিটির ১নং সদস্য হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে। চাল বিক্রির পর পাশের দোকানে জনগণের উপস্থিতিতে চাল মাপযোগ করে কার্ডধারীরা বস্তা প্রতি (৩০ কেজির বস্তা) দেড় থেকে দুই কেজি করে কম পায়। এনিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। যথাযথ কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে আসেন এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিলে উপজেলা ওএমএস’র মিটিংয়ে হায়দার মল্লিকের ডিলারশীপ বাতিল ও জামানত বাজায়াপ্ত হয়ে যায়। ফলে গড়াইটুপি ইউনিয়নের ডিলারশীপের পদ শূন্য হয়ে পড়ে। পুনরায় ডিলার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ইউনিয়নের ৭জন ব্যাক্তি ডিলারশীপ পেতে আবেদন করেছেন বলে আবেদনকারীদের মধ্যে জনৈক আবেদনকারী জানিয়েছেন। আবেদনকারীদের মধ্যে আছেন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি লিটন মিয়া, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি শ্রী বসন্ত কুমার, গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চাঁন আলী, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রোকন, আ.লীগ নেতা ডাক্তার হাফিজুর রহমান ও ভূষিমাল ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম।
সূত্র জানায়, প্রার্থীরা আবেদন করলেও করোনা পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ এখনও যাচাই বাচাই কিংবা তদন্ত কমিটি গঠন করেননি। এরই মধ্যে একজন বাদে আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকেই লবিং এবং সুপারিশ নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। ইউনিয়নবাসীর প্রশ্ন পূর্বের ন্যায় ডিলারশীপ কি দলীয় বিবেচনায়? না কি নীতিমালা মেনে যোগ্য ব্যক্তিকে ডিলারশীপ দেবেন কর্তৃপক্ষ? দলীয় বিবেচনায় ডিলারশীপ দেয়া হলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবার সমুসম্ভবনা রয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, নীতিমালায় বলা আছে ওএমএস’র ডিলারশীপ পেতে হলে প্রার্থীকে অন্তত প্রতিষ্ঠিত মুদি দোকানদার/চালের খুচরা দোকানদার অথবা সাধারণ ব্যবসায়ী হতে হবে। সূত্র জানিয়েছে, গড়াইটুপি ইউনিয়নের আবেদনকারীদের মধ্যে একজন ছাড়া আর কেউ ব্যবসায়ী নন। এদিকে উপজেলা ওএমএস কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার সদস্য সচিব এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের মনোনীত প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি অফিসার, শিক্ষা অফিসার, স্থানীয় সংসদ সদস্যর পরামর্শক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত দুজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি কমিটির সদস্য। যারা যাচাইবাচাই এবং তদন্তপূর্বক ডিলার নিয়োগ দিবেন। তাই ইউনিয়নবাসীর দাবি কমিটি যেনো সঠিক যাচাইবাছাই ও তদন্ত করে নীতিমালা অনুযায়ী ডিলার নিয়োগ দেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More