স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডোমচারায় সোহেল হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে তারই ভাই সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত সোহেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডোমচারা গ্রামের মাঝেরপাড়ার শাহবুদ্দিনের ছোট ছেলে। সে চুয়াডাঙ্গা শহরে এলজি-বাটারফ্লাই শোরুমে কর্মরত বলে জানিয়েছেন তারা বাবা। গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে নিজ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাবা শাহবুদ্দিন কয়েকদিন আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা ভাগ করে দেন। ছোট ভাইয়ের জমিতে থাকা গাছ কাটাকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনার সুত্রপাত। বাবা শাহবুদ্দিন বলেন, বড় ছেলে সাদ্দার তার মুরগীর ফার্মের জন্য ছোট ছেলের জমির কিছু গাছ কাটে। এতে ছোট ছেলে প্রতিবাদ করতে গেলে আমি নিষেধ করি। এরপর সে কোন প্রতিবাদ করেনি। কিছু বুঝে উঠার আগে শুক্রবার বিকেলে ছোট ছেলেকে হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তিনি আরও বলেন, রাতেই ছেলেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসক অস্ত্রোপচা শেষে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে, তবে আশংকামুক্ত। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। পিটের কোপটা গভীর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, এমন কোন তথ্য আমার জানা নেই। বিস্তারিত জানতে বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.