চুয়াডাঙ্গার তরুণীর হাতে তৈরি গয়না যাচ্ছে সারাদেশে

আবৃতি’স ক্রাফট ফেয়ারের ৩ বছর পূর্তিতে গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আবৃতি’স ক্রাফট ফেয়ারের ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের সাহেদ প্যালেসে জাকজমকপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তিন বছরে ক্রাফটিং বিজনেস এবং নিজের গল্প তুলে ধরেন আবৃতি’স ক্রাফট ফেয়ারের অ্যাডমিন তরুণ উদ্যোক্তা আবৃতি মেহতারিন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ার আব্দুল মোতালেবের মেয়ে আবৃতি মেহতারিন অনলাইনের মাধ্যমে হ্যান্ডমেড জুয়েলারির বিষয়ে জানতে পারেন। সেখান থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০১৭ সালে তিনি নিজেই ক্রাফটিং জুয়েলারি তৈরি শুরু করেন। বন্ধুবান্ধব ও ফেসবুক গ্রুপ ‘অনলাইন ডিসপ্লে সিডি’র প্রচারণার ফলে ব্যাপক সাড়া পেতে থাকেন আবৃতি। শুরুটা শখের বসে হলেও তার গয়না তৈরির কাজ বর্তমানে ব্যবসায় রূপ নিয়েছে।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি কোর্সে অধ্যয়নরত আবৃতি মেহতারিন পড়াশোনার পাশাপাশি করছেন ক্রাফটিং বিজনেস। তিনি এখন হাতের চুড়ি, কানের দুল, গলার গয়নাসহ গায়ে হলুদ, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত বরণসহ বিভিন্ন দিবসভিত্তিক অনুষ্ঠানে সাজগোছের জন্য সব ধরণের গয়না তৈরি করে থাকেন। আবৃতি’স ক্রাফট ফেয়ারের গয়না শুধু চুয়াডাঙ্গায়ই নয়, অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। দিনে দিনে সারাদেশ থেকেই বাড়ছে চাহিদা।

আবৃতি’স ক্রাফট ফেয়ারের গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপনুল হাসান, দৈনিক সমকালের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি খাইরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরেই এখন হাতে তৈরি গয়নার ব্যবসা শুরু হয়েছে এটা আসলেই ভালোলাগার মতো খবর। আরও শুনে ভালো লাগছে গয়না যিনি তৈরি করছেন তিনি একজন ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এ ব্যবসা করছেন। এর জন্য তাকে বাইরেও যেতে হয় না। অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। তরুণ উদ্যোক্তা আবৃতি মেহতারিনকে দেখে চুয়াডাঙ্গায় আরও উদ্যোক্তার আত্মপ্রকাশ ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। পরিশেষে আবৃতির সাফল্য কামনা করেন অতিথিরা।

আবৃতি মেহতারিন তার সফলতার গল্প তুলে ধরে বলেন, প্রথমদিকে পরিবারের পক্ষে তেমন কোনো সহযোগিতাই পাইনি। কাজ শুরুর পর বন্ধুবান্ধব ও ফেসবুক গ্রুপে প্রচারের ফলে একের পর এক অর্ডার পেতে থাকি। শখের বসে গয়না তৈরির কাজ শুরু করলেও মানুষের চাহিদার কারণে এখন ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। নিজেকে তরুণ উদ্যোক্তা মনে করে নিজের প্রতিই গর্ব হয়। তবে বর্তমানে পরিবারসহ সকলেই আমাকে সার্বিক সহযোগিতা এবং উৎসাহ দিয়ে আসছেন। ভবিষ্যতে আমি আরও ভালো কিছু করে চুয়াডাঙ্গা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি তার জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ও সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ফেসবুক গ্রুপ অনলাইন ডিসপ্লে সিডি’র সিইও সজল আহমেদ অর্ণব, সিএফও আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিটিও তাজুল ইসলাম এবং এপি মোহাম্মদ মিশাদ। মেয়ের সফলতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেন আবৃতির পিতা আব্দুল মোতালেব ও মা আরজিনা খাতুন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More