চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

প্রধান সমন্বয়কারীর অপসারণ চেয়ে কমিটির ১০ জন সদস্যের অনাস্থা প্রস্তাব

বেগমপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সংগঠন সুসংগঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট দর্শনা থানা সমন্বয় টিম গঠন করেছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। কমিটি গঠনের পর থেকেই অন্তঃদ্ব›দ্ব শুরু হয় নিজেদের মধ্যে। ফলে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে গেলে মতদ›েদ্বর কারণে প্রায় মারামারির ঘটনা ঘটছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ছোটসলুয়া গ্রামে কমিটি গঠন করতে গেলে বহিরাগতদের কারণে শুরু হয় হট্টগোল এবং মারামারি। এতে বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হন। দর্শনা থানা সমন্বয় কমিটির সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, আসাবুল হক, রফিকুল ইসলাম, মিলন মিয়া, হাবিবুর রহমান বুলেট, আশরাফুল হক বিপ্লব, খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ, আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত অনাস্থা অভিযোগপত্রে জানাযায়, কমিটি গঠনের পর থেকেই প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আবুল হাসনাত শুরু থেকেই কমিটির সদস্যদের অবমূল্যায়ন, নিজের খেয়াল খুশিমতো কমিটি গঠন, পছন্দের লোকের বাড়িতে বসে কমিটি গঠন, কমিটিতে সদস্য পদ পাইয়ে দিতে উৎকোচ গ্রহণসহ নানা অভিযোগ তুলে জেলা আহ্বায়ক কমিটির নিকট তা প্রেরণ করেছেন। অভিযোগকারীরা আরও বলেন, তিনি প্রধান সমন্বয়কারী হওয়ায় কমিটিতে নিজের পছন্দের লোককে পদপদবী দিতে মরিয়া। যাতে করে থানা কমিটি গঠনকালে সভাপতির পদ পেতে সমর্থন পায়। গতকালের ঘঠনাও পূর্বপরিকল্পিত। বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের তারিখ থাকলেই তিনি তার অনুসারীদের লোকবল নিয়ে হাজির থাকতে বলেন। যাতে করে ওয়ার্ড কমিটি গঠনকালে মতামতের সময় পছন্দের লোকের পক্ষে জনমত সৃষ্টি হয়। ছোটসলুয়া গ্রামে গঠিত হয় কমিটি গঠন। অথচ তিতুদহের সদস্য আবুল হাশেম টোটন বেশকিছু লোকজন নিয়ে ছোটসলুয়া গ্রামে হাজির হন এবং মঞ্চ দখল করেন। একপর্যায়ে তিনি এবং তার ছেলে হট্টগোল সৃষ্টি করে ও মারমারির ঘটনা ঘটান। সদস্য আবুল হাশেম টোটনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এম জেনারেল ইসলাম বলেন, প্রধান সমন্বয়কারী বহিরাগত লোক নিয়ে এসে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং থানা কমিটির সভাপতি হওয়ার মনবাসনা নিয়ে ওয়ার্ড কমিটিতে নিজের পছন্দের লোক বসাতে চাইছেন। আজকের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য মূলত প্রধান সমন্বয়কারীর মদদপুষ্ট আবুল হাশেম ও তার লোকজনই দায়ী। বিষয়টি জেলা আহ্বায়ক কমিটিকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আবুল হাসনাত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বহিরাগতদের কারণে আজকের এ ঘটনা ঘটেছে। আর ওয়ার্ড কমিটি গঠনে উৎকোচের প্রশ্নই ওঠে না। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে গিয়ে সমন্বয় কমিটির কেউ কেউ ষড়যন্ত্র শুরু করছে। আবার কেউ কেউ কর্মাশিয়াল চিন্তাভাবনায় মেতেছে। দলের গঠণতন্ত্র মোতাবেক জেলা আহ্বায়ক কমিটি ছাড়া এ কমিটির ৯-১০ জন সদস্য এভাবে অনাস্থা আনতে পারে না। যা গঠণতন্ত্র বর্হিভুত।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More