চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে ছাত্রীকে পুত্রবধূ করার ঘটনা তদন্তে সত্যতা মিলেছে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহারের ছেলের সাথে ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের দেয়ার সত্যতা পেয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। এঘটনার পর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুণ্ডু। বিষয়টি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভ‚ইয়া। তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, স্কুল শিক্ষিকা তার অবস্থান থেকে এমন কাজ করতে পারেন না। তার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলছাত্রীর সাথে বিয়ে দিয়েছেন এটা চরম আইন লক্সঘন। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আজ মঙ্গলবার নিয়োগকারী কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক ওই শিক্ষিকার সাময়িক বরখাস্তের চিঠি আমাদের হাতে চলে আসবে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার ও করা হবে। এর আগে ২৮ মার্চ স্থানীয় দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। এরপর এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুণ্ডু ঘটনা তদন্তে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারকে সরেজমিনে পাঠানো পাঠান। সরেজমিন তদন্তে অভিযুক্ত শিক্ষিকা তার কাছে ঘটনা স্বীকার করেন এবং লিখিত বক্তব্য দেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রতিবেদন পড়ে গতকাল সোমবার সকালে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতার জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে ওই শিক্ষিকা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর আমি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নিয়োগকারী কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছি। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ার দিনমজুর অসোক আলীর মেয়ে সাদিয়া আফরিন (ছদ্মনাম) (১১) বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার তার ছেলে যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহমানের বিয়ে দেন। প্রথম কয়েকদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও নব্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে ঘটা করে শ্বশুরবাড়ী ছোটশলুয়া গ্রামে বেড়াতে এলে তা জানাজানি হয়ে যায়। এনিয়ে সচেতন মহলে নানা সমালোচনা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More