চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়ায় ৬ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ : পুলিশ পরিচয়ে টাকা দাবি

 

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বড়শলুয়া ইটভাটা পাড়ার মিতা খাতুন (১৫) নামের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ৬ দিন ধরে নিখোঁজ। সে বাড়ি থেকে ১শ’ টাকা নিয়ে জন্মনিবন্ধন ফটোকপি করতে হিজলগাড়ী বাজারে যাবার জন্য বের হয়ে আর ফেরেনি। গত মঙ্গলবার সে বাড়ি থেকে বের হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া ইটভাটা পাড়ার মিনারুল ইসলামের মেয়ে মিতা খাতুন (১৫) স্থানীয় আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। গত মঙ্গলবার স্কুলে জন্মনিবন্ধন লাগবে বলে তার মায়ের কাছথেকে ১শ’ টাকা নিয়ে প¦ার্শবর্তী হিজলগাড়ী বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। নিখোঁজ হবার ৬ দিন অতিবাহিত হবার পরও তার কোন সন্ধান না পেয়ে তার পরিবার চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। এখন পর্যন্ত তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। গতপরশুদিন অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার মেয়েকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাদের কাছে আছে এবং ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিলে তার মেয়েকে দর্শনা থানায় পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান। এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে এই প্রতিবেদক ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার সাহজাহান সাজুর কাছে মোবাইলে বিষয়টি বিস্তারিত জানালে তিনি কল আসা মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে জামালপুর ও পাবনার দুটি নাম্বারে বিষয়টি জানান। তবে টাকা পয়সা লেনদেন করতে নিষেধ করেন। এবং প্রতারক বলেও জানান। তিনি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে খোঁজ খবর রাখার কথা জানান। এদিকে ৬ দিন যাবত তার মেয়ের কোন খোঁজখবর না পেয়ে কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে। তার বুকফাটা আহাজারিতে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। অক্ষত অবস্থায় তার মেয়েকে ফেরত পেতে প্রশাসনের কাছে দাবি করেন। এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী পিতা। তার মা জানান, বলদিয়া বাইনেপাড়ার আমজাদের ছেলে ইউসুফের সাথে মোবাইলে প্রেমজ সম্পর্কের কথা জানান। কিন্তু ইউসুফ নামের ওই যুবক জানান সে গত একমাস আগে বিয়ে করেছে। তারপর থেকে তার সাথে মোবাইলে কথা হয় না। আগে কথা হতো। এ বিষয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলি জানান, বিষয়টি জানার পর প্রশাসনকে আমি অবহিত করেছি গুরুত্বসহকারে মেয়েটির সন্ধান প্রাপ্তির জন্য। এখনো পর্যন্ত তার বাড়ির লোকজন জানে না মেয়েটির সাথে মূলত কি হয়েছে। প্রেমঘটিত নাকি অন্য কোন ঘটনা ঘটেছে সেটাই রহস্যময়। এদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানান ওই মেয়েটি একাধিক ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলতো।  যেকোনো মূল্য তার মেয়েকে ফেরত পেতে প্রাশসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে তার পরিবার।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More