চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরে হ্যাচারীতে মারা গেছে হাজার হাজার হাঁস-মুরগী ও পুকুরের মাছ

ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর মোড়ে মোনাজাত আলী এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচারীর হাজার হাজার হাঁস ও মুরগী মারা গেছে। একই সাথে খামারের পানি পুকুরে নামায় পুকুরের মাছও মারা গেছে বলে জানান খামার মলিক।
জানা গেছে, ভালাইপুর কলাবাড়ী সড়কের ভাইমারা খাল সংলগ্নে মোনাজাত আলী এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচারীর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ১ থেকে দেড় কেজী ওজনের পাকিস্তানি ৩০ হাজার মুরগীর মধ্যে মারা গেছে ২৬ হাজার ও ১৪ হাজার, ডিমপাড়া হাসের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার হাঁস মারা গেছে। এছাড়াও হাঁস এবং মুরগীর খামার থেকে নেমে যাওয়া পানি পুকুরের যাওয়ায় পুকুরের প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ মাছ মারা গেছে বলে জানান খামারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
খামারের ম্যানেজার ইমান আলী ও জাহান আলী বলেন, লাখী এন্টারপ্রাইজ ফিস্ ফিড এন্ড পল্ট্রি ফিডের খাবার খাওয়ানোর পরদিন সকালে খামারে গিয়ে দেখি হাজার হাজার মুরগী ও হাঁস মরে পড়ে আছে। তারপর থেকে প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রতিদিনই খামারের মুরগী ও মাছ মারা যেতে থাকে। খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোনাজাত আলী এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচারীর মালিক মোনাজাত বলেন, আমার পাকিস্থানী মুরগীগুলো এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়েছিল এবং সবগুলোই ডিমপাড়া হাঁস ছিলো। লাখী এন্টারপ্রাউজ ফিস্ ফিড এন্ড পল্ট্রি ফিডের খাবার খাওয়ানোর পরদিন থেকে আমার ৩ হাজারের ওপরে হাঁস, ২৬ হাজারের বেশি মুরগী ও এক-দেড় কেজী ওজনের ২০ থেকে ২৫ মণ মাছ মারা গেছে। কিছু মুরগী বেঁচে গেলেও অল্প দামে বিক্রি করি। এখন আমি নিঃস্ব।
এলাকাবাসী ও খামারের কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, এই খামারের যত হাঁস মুরগী ও মাছ মারা গেছে এটি মর্মান্তিক ঘটনা। লাখী এন্টারপ্রাউজ ফিস্ ফিড এন্ড পল্ট্রি ফিডের খাবার খাওয়ার পর থেকেই যেহেতু এ ঘটনা ঘটেছে, তাই এই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More