চুয়াডাঙ্গার মর্তুজাপুর-শিবপুর মাঠের সড়কে বাশ দিয়ে গতিরোধ ছেলেকে কুপিয়ে ও বাবাকে পিটিয়ে নগত ৮০ হাজার টাকা লুট
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শিবপুর-মর্তুজাপুর গ্রামের ফাকা মাঠে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ছেলে জিয়ারুলকে (২২) কুপিয়ে ও বাবা শফি উদ্দিনকে পিটিয়ে নগদ টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পথচারীরা আহত অবস্থায় বাবা-ছেলে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শিবপুর ও মর্তুজাপুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে ফাকা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বাবা-ছেলে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তারা ভ্রাম্যমান পোশাক বিক্রেতা।
আহত বাবা-ছেলে অভিযোগ করে দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আনুমানিক রাত ১০টার দিকে দশমাইল (বদরগঞ্জ) বাজারে কেনাবেচা শেষে ভ্যানযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। শিবপুর ও মর্তুজাপুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে ফাকা মাঠে পৌছালে সড়কের উপর বাশ দেয়া দেখতে পেয়ে থামার সাথে সাথেই ৬-৭ জনের ডাকাতদল তাকেরদে ঘিরে ধরে তারা। পরে কিছু বোঝার আগেই ভ্যানচালক ছেলে জিয়ারুলকে কুপিয়ে জখম করে এবং বৃদ্ধ বাবাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে তাদের কাছে থাকা নগদ ৭০-৮০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
আহত শফি উদ্দিন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমি ও আমার ছেলে দশমাইল বাজারে ভ্যানে করে কাপড় বিক্রি শেষে বাড়ীতে ফিরছিলাম। এ সময় ডাকাতদল আমাকে পিটিয়ে ও আমার ছেলের বাম হাতে কুপিয়ে সারাদিন যা বিক্রি করেছিলাম সব টাকা (৭০-৮০ হাজার) নিয়ে নিয়েছে।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জিয়ারুলের বাম হাতে গভীর ক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তবে বৃদ্ধ শফি উদ্দিনকে মারধর হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমরা জেনেছি সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা। ভ্যান উলটে মালামাল রাস্তায় পাশে পড়েছিল। ভ্যান ও মালামাল পুলিশ হেফাজতে আছে। বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নগদ টাকা লুট করেছে ডাকাতদল, এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খোজ নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.