চুয়াডাঙ্গার রাঙ্গিয়াপোতায় ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট : হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার রাঙ্গিয়ারপোতা সড়কে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে দর্শনা মোবারকপাড়ার নাদিম মাহমুদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। প্রাণে বেঁচে গেছেন চালক মোহাম্মদপুরের সুমন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে জব্দ করেছে। এ ঘটনায় নাদিমের পরিবারে বইছে শোকের মাতম। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা সরকারি খালের মাটি অবাদে বিক্রি করছে একটি চক্র। আর এসব মাটি ক্রয় করছে ইটভাটা মালিকেরা। ফলে গ্রামীণ সড়কগুলোতে বেপোরয়াগতিতে চলাচল করছে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাঙ্গিয়ারপোতা সরকারি খাল থেকে মাঠি বোঝাই করে একটি ট্রাক্টর দর্শনার দিকে আসছিলো। এসময় ট্রাক্টরটি রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের নতুন পাড়ার পাঁকা সড়কের ওপর উঠলে পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল ওভারটেক করতে যায়। একপর্যায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা দর্শনা মোবারক পাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে ভাইভাই গার্মেন্টসের কর্মচারী নাদিম মাহমুদ সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে যান। এতে ট্রাক্টরের সামনের চাকায় পিষ্ট হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে নেয়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাদিমের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি আলমডাঙ্গায় পৌঁছুলে নাদিমের (৩২) মমান্তিক মৃত্যু হয়। অপরদিকে মোটরসাইকেলের চালক দর্শনা মোহাম্মদপুরের সুমন প্রাণে বেঁচে যান। এঘটনায় দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাক্টর এবং মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। একটি সূত্র জানিয়েছে ট্রাক্টরের মালিক ঈশ্বরচন্দ্র পুরের ছালাম। আর চালক ছিলেন আকন্দবাড়িয়া গ্রামের জুয়েল রানা। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লুৎফুল কবির বলেন, ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলটি থানায় আনা হয়েছে। তবে এখনপর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে বর্তমানে ইটের ভাটাগুলোতে ইট পোড়ানো বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী মৌসুমে ইটকাটার জন্য ভাটা মালিকেরা ভাটাই মাটি সংগ্রহের কাজ করছেন। আর এতে কৃষিকাজের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টরগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে মাটি বহনের কাজে ব্যবহার করছেন। আর এসব ট্রাক্টরের স্ট্যারিং ধরছেন আনাড়ি এবং অল্প বয়সি যুবকেরা। যাদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More