চুয়াডাঙ্গার সদর মঞ্জিলে জন্মশতবার্ষিকী ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আমাদের সবার উচিত সাধু-বাউলদের পৃষ্ঠপোষকতা করা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলায় সদর মঞ্জিলে গতকাল বৃহস্পতিবার সাধু-বাউলদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছরের ধারাবাহিকতায় খাজা শাহ সুফি সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতীর স্মরণে চৈত্র মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার গতকাল ২১তম আসর বসে।
তরিকতে আহলে বাইত, বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা এবং ইমামিয়া চিশতিয়া নেজামিয়া সংঘ, সদরনগর তালতলা ব্রিজ মোড়, চুয়াডাঙ্গায় এই মিলনমেলার আয়োজন করে। আজ শুক্রবার দুপুরে পূর্ণসেবার মধ্যদিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
গতকাল সন্ধ্যায় তালতলা ব্রিজ মোড় সদর মঞ্জিল মঞ্চে অনুষ্ঠিত মিলনমেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সাধু-বাউলদের পূণ্যভূমি এই চুয়াডাঙ্গা। সমাজে অনেকের চোখে অবহেলিত সহজ-সরল এই বাউলরাই বাঙালিদের কৃষ্টি কালচারকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমাদের সবার উচিত সাধু-বাউলদের পৃষ্ঠপোষকতা করা।
তরিকতে আহলে বাইত, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদলের সভাপতিত্বে মিলনমেলার উদ্বোধক ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন শিবলী। অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাউল কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মহিউদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, তরিকতে আহলে বাইত বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহমেদ কামরুল মোরশেদ, সংগঠনের ধ্যান-সালাত বিষয়ক সম্পাদক মাহামুদুল হাসান, দফতর সম্পাদক লিয়াকত আলী খান, চান্দিনা কুমিল্লার মাওলানা আবুল কাশেম, বড় বলদিয়ার আব্দুস সালাম ও ভালাইপুরের ইমদাদুল হক দারা। অনুষ্ঠানে বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাউল আব্দুল লতিফ শাহ, খোরশেদ আলম, জহুরা বেগম ও হিটু ক্ষ্যাপা।
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় অবস্থিত বাউল সাধক ফকির লালন শাহের আখড়ার পর বাউলদের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা বসে এই মঞ্জিলে। যেখানে এ বছরও সারা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলার পাশাপাশি প্রতিবেশি দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য সাধু-গুরু এই মিলনমেলায় যোগ দেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলায় নয়বিঘা জমির ওপর খাজা শাহ সুফি সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতীর দরবার (সদর মঞ্জিল) অবস্থিত। তরিকতে আহলে বাইত বাংলাদেশের প্রবক্তা সদর উদ্দিন চিশতী (র.) ২০০০ সালে চুয়াডাঙ্গায় আসেন। তার পদার্পণকে স্মরণে রাখতে স্থানীয় ভক্ত-অনুসারী শহরের ফেরিঘাট সড়কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওহিদ হোসেন চিশতী সদর মঞ্জিল স্থাপন করেন। সেই থেকে প্রতিবছর চৈত্র মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার এই মঞ্জিলে সাধু-বাউলদের আসর বসে। ওহিদ হোসেন চিশতী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এবারের বিশেষ আয়োজন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More