স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবু হুজাইফা শুভ (২৩) নামে মোটরসাইকেল আরোহী কোরআনের হাফেজ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ফুপাতো ভাই মোটরসাইকেলচালক সোলাইমান হক (২১) আহত হয়েছেন। গত সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার গহেরপুর-সড়াবাড়িয়া সড়কের সুপার ব্রিকসের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দর্শনা থানার ওসি মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিহত আবু হুজাইফা শুভ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আরিফুজ্জামানের ছেলে। তিনি হেফজ শেষ করে মাওলানা বিভাগে পড়ছিলেন। আহত সোলাইমান হক জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের বাজারপাড়ার হারুন আলীর ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ফুপাতো ভাই সোলাইমানের সঙ্গে শুভ মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা সদরের দশমাইলের আক্কাস লেক ভিউ পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। পথে সুপার ব্রিকসের সামনে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাকা সড়কে ছিটকে পড়েন দুজন। এ সময় সামনে থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের পেছনের চাকার আঘাতে গুরুতর আহত হন হুজাইফা। চালক সোলাইমান সামান্য আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সড়াবাড়িয়া বাজারে নিয়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে মাইক্রোবাসে প্রথমে তাদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হলে চিকিৎসক হুজাইফাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোলাইমানকে ভর্তি করা হয়েছে, তিনি শঙ্কামুক্ত। নাম প্রকাশ না করে প্রত্যক্ষদর্শী চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, দুর্ঘটনাটি দুই ইটভাটার মাঝামাঝি এলাকায় ঘটে। তারা মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন। আমি তাদের পেছনে ছিলাম। দ্রুতগতিতে চলা ১৫০ সিসির একটি সুজুকি জিক্সার বাইককে ওভারটেক করার সময় তারা নিয়ন্ত্রণ হারান। ট্রাক্টরচালক বাঁচানোর চেষ্টা করে ট্রাক্টর রাস্তা থেকে নামিয়ে দেন, কিন্তু তবু ছিটকে পড়া অবস্থায় একজন ট্রাক্টরের চাকায় পড়ে গুরুতর আঘাত পান। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইসরাত জেরিন জেসি বলেন, দুজনকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, আবু হুজাইফার আগেই মৃত্যু হয়েছে। সোলাইমানকে ভর্তি করা হয়েছে, তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.