চুয়াডাঙ্গায় আরও ৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

শুধু শহর নয় গ্রাম বাংলাতেও ছড়িয়ে পড়ছে বিশ^ মহামারি ভয়ানক ছোঁয়াচে রোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৮জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গায় যে ৮ জন নতুন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ৩ জন ও জীবননগর উপজেলার একজন। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে নমুনা দেয়া আরও এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তিনি নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। এ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭শ ৬৮ জন। অবশ্য চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে একজন কম। নতুন যে ৮ জন শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুরের একজন, কোর্টপাড়ার একজন, হাসপাতালপাড়ার একজন, মাখালডাঙ্গার একজন, দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়ার জন, দশমির একজন ও দেউলী গ্রামের একজন। জীবননগর উপজেলার শনাক্ত ব্যক্তির বাড়ি নতুন চাকলা গ্রামে।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগসূত্রে জানা গেছে, গতকাল নতুন ৩১ জনের নমুনা নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৭শ ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৮ হাজার ৫শ ২০ জনের। ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭শ ৬৭ জন। গতকাল মঙ্গলবার আরও ২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন এক হাজার ৬শ ২৫ জন। মারা গেছেন ৫২ জন। বেসরকারি হিসেবে অবশ্য আরও একজন বেশি। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১৪ জন, বাড়িতে ৭৪ জন ও রেফার ছিলেন ২ জন।
নোভেল করোনা ভাইরাস ভয়াবহ ছোঁয়াছে। ফলে বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য পুনঃ পুনঃ তাগিদ দেয়া হয়েছে। এতেও তেমন সাড়া না মেলার কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনে দেশ। এরপরও স্বাস্থ্য বিধি শতভাগ মেনে চলার তেমন নজির মিলছে না। ফলে প্রশাসনের তরফে জরিমানা করা হচ্ছে। তাতেও যে বিধি বিধান মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে তাও নয়। অথচ চুয়াডাঙ্গায় যেমন বাড়ছে সংক্রমণ, তেমনই সারা দেশে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যের সংখ্যা। গতকালও দেশে মারা গেছেন ৬৬ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৩শ ৮৪ জন। বিশে^র বহু দেশের পরিস্থিতি বেশামাল। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষণাকৃত বিশ^ মহামারি এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতার বিকল্প নেই। উদাসীনতার চরম খেসারত দিতে হতে পারে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More