চুয়াডাঙ্গায় আসলামের জেল : মামলাসহ ফাতেমাকে থানায় সোপর্দ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দুই মাদককারবারীকে আটকের পর আসলাম আলী নামের একজনকে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাদককারবারী অপর নারী ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন মল্লিকপাড়া ও সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। দুপুরে শহরের পুরাতন মল্লিকপাড়ার নিজবাড়ি থেকে ২ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ আটক করা হয় আসলাম আলীকে। পরে হাতিকাটা গ্রামের ফাতেমা খাতুনকেও তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫০৬ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে শহরের পুরাতন মল্লিকপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিজ বাড়ি থেকে ২ অ্যাম্পুল নেশার ইনজেকশনসহ (বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন) আটক করা হয় মৃত আস্কর আলীর ছেলে আসলাম আলীকে। সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৪ মাসের কারাদ- ও ৫শ’ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৃথক অভিযান চালানো হয় সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের সুরুজ আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের বাড়িতে। সেখান থেকে ৫০৬ পিস বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় মাদক ব্যবসায়ী ফাতেমা খাতুনকে। পরে তাকে উদ্ধারকৃত বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে তার স্বামী সুরুজ আলীকেও। এর আগেও ফাতেমার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ৬টি মামলা রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরীয়ত উল্লাহ্ জানান, পৃথক দুইটি অভিযানে উদ্ধার হওয়া মোট ৫০৮ অ্যাম্পুল বুপ্র্রেনরফাইন ইনজেকশনের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ টাকা। মাদকবিরোধী এ অভিযানে অংশ নেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহারা ইয়াসমিনসহ ৯ সদস্যের একটি দল।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More