চুয়াডাঙ্গায় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোতে সরকারি পর্যায় থেকে সহযোগিতা করা হবে
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় এপ্রিল মাসের জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় যেসকল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় আছে সেগুলোতে সরকারি পর্যায় থেকে সহযোগিতা করা যেতে পারে। সেজন্য আপডেট তথ্য থাকা প্রয়োজন। আগামী মাসে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সভাকে জানাবেন। হালনাগাদ ভোটার তালিকায় যেসকল ব্যক্তি তথ্য প্রদান করেছেন, অথচ ছবি তোলেননি, তারা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে দ্রুত ছবি তোলার ব্যবস্থা করতে পারবেন। এবারের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় ৪৮ হাজার ভোটার তথ্য প্রদান করেছেন। অথচ ছবি তুলেছেন ৪৬ হাজার। বাকি দুই হাজার ব্যক্তি ছবি তুলতে পারেননি। তারা দ্রুত যোগাযোগ করতে পারেন। টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যেসকল শিক্ষার্থী পড়াশুনা শেষ করে বিদেশে যাচ্ছেন তাদের একটি তথ্য ভান্ডার থাকা দরকার। এ ব্যাপারে কর্মসংস্থান অফিস ও টিটিসি যৌথভাবে কাজ করতে পারে। চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে কুরবানি পশুর চামড়া সংরক্ষণে লবণ ব্যবহারে মাদরাসা পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিসিক লবণ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে। সড়কের দু’পাশে গাছ লাগানোর সময় রাস্তার জমি যতটুকু সম্ভব ছেড়ে দিয়ে গাছ লাগাবেন। এতে রাস্তার প্রস্তত করতে এলজিইডির সুবিধা হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সহকারী কমিশনার নাঈমা জাহান সুমাইয়া বিগত মার্চ মাসের সকল দপ্তরের অগ্রগতি বিষয়ে সিদ্ধান্তসমূহ পাঠ করেন। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ^াস, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ, জীবননগর নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমীন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক ও মুখ্য সচিব সজিব বিশ্বাস, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, জেলা শিক্ষা অফিসার দিল আরা চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অ.দা.) মাকসুরা জান্নাত, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা ফেরদৌস, জেলা তথ্য কর্মকর্তা শিল্পী ম-ল, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার সাহা, টিটিসির অধ্যক্ষ মো. মুছাবেরুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি রাজীব হাসান কচি ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলামসহ সরকারি সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীদের ফ্যান, লাইট ও টয়লেটগুলো ঠিকমত সংস্কার করা হয় না। নিরাপত্তার জন্য আনসার বাহিনী নিয়োগের দাবি থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ওষুধের মান নিয়ে কথা উঠে। সরকারি ওষুধে মেয়াদ ঠিকমত থাকে না। মেয়াদের কাছাকাছি সময়ে বের করা হয়। ফলে, রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এছাড়া, চিকিৎসকরা সরকারি টাইম মেনে অফিস ডিউটি করে না। নিজের ইচ্ছে মত আসে যায়। রোগীরা স্বেচ্ছাসেবকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তারা সব কাজে টাকা চাই। এমনকি রোগীর ছাড়পত্র নিতে হলেও টাকা দিতে হয়। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরের ফল বাজার ও সরকারি কলেজের সামনে ফার্স্টফুডের দোকানগুলো ফিক্সড হয়ে পড়েছে। এদের আসা যাওয়ার মধ্যে রাখার দাবি করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.