চুয়াডাঙ্গায় তথ্য অধিকার আইন জনঅবহিতকরণসভায় তথ্য কমিশনের পরিচালক

তথ্য অধিকার আইন জানলে অন্যায়-অনাচার থাকবে না

স্টাফ রিপোর্টার: তথ্য কমিশনের পরিচালক যুগ্ম সচিব ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেছেন, নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে এবং সত্যটাকে জানাতে হবে। তথ্য অধিকার আইন জানলে অন্যায়-অনাচার থাকবে না। তথ্য চাইলে জনগণ, দিতে বাধ্য প্রশাসন। সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোকে তথ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে অনুষ্ঠিত তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ জনঅবহিতকরণ সভায় যুগ্ম সচিব ড. মো. আব্দুল হাকিম প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব মন্তব্য করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনঅবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবু হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শাহ আলম সনি।
প্রধান অতিথি তথ্য কমিশনের পরিচালক ড. আব্দুল হাকিম আরো বলেন, দেশে ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাশ হয়েছিলো। ১৭৬৬ সালে সুইডেনে তথ্য অধিকার আইন চালু হয়। ১২২ বছর পর কলম্বিয়া তথ্য অধিকার আইন পাশ করে। ১৯৫১ সালে ফিনল্যান্ড এবং ১৯৬৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথ্য অধিকার আইন চালু করে। ১২৮টি দেশে তথ্য অধিকার আইন চালু আছে। ধীর গতির মূল কারণ জনগণকে ক্ষমতায়ন। দেশে ১১৯৭টি আইন আছে জনগণকে দেখার জন্য। ১টি আইনে জনগণকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সেটি তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ জনগণ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। জনগণ দেখবে সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত এবং জবাবদিহিতা হচ্ছে কিনা। কোন কিছু না জানলে চাইবো কি করে। সরকারি-বেসরকারি এনজিও অফিসে তথ্য চাওয়া যাবে। প্রত্যেকটা অফিসে তথ্য কর্মকর্তা আছে। বিকল্প কর্মকর্তা আছে। সুনির্দিষ্ট ফরমেটে আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More