স্টাফ রিপোটার: তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উল্লেখিত দামে বিক্রয় নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়; একটি শক্তিশালী তামাক কর নীতি প্রণয়ন করা। হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উল্লেখিত দামে বিক্রয় নিশ্চিত এবং মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা। সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধি ও মনটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা, কর ফাঁকি রোধ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে তামাকজাতদ্রব্য বিক্রিয় নিশ্চিত সরকাররে পক্ষ থেকে বেশি কিছু মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হলেও তা খুবই সীমিত এবং নির্দিষ্ট স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকছে। কিন্তু মোবাইল কোর্ট নিয়মিত না হওয়ার ফলে অনেক সময় আইন অমান্যকারীদরে বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। বাংলাদেশে তামাক কোম্পানরি হস্তক্ষপে, কর বিষয়ক অপপ্রচার, দুর্বল কর কাঠামোর বিপরীতে সুনির্দিষ্ট কর, শক্তিশালী তামাক করনীতি এবং পর্যাপ্ত মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় তামাক খাতে কর বৃদ্ধি এবং রাজস্ব আয়ের হার আশানুরূপ নয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যাক্ষ অধ্যপক শাহাজাহান আলী বিশ্বাস, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন, জাহান্নারা যুব মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা খাতুন, অন্বেষা যুব নারী কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লিজা হোসাইন, মনি মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রোজি আক্তার, উদ্যোক্তা ফারহানা আক্তার ও প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান, সহসমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান, আরিফুর রহমান, হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.