চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ : নাসিরসহ গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার: মারধরের পর দম্পতিকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ এবং ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেখিয়ে করা হয় চাঁদাদাবি। বিয়ে না করেই অবৈধভাবে বসবাস করার অভিযোগ তুলে চালানো হয় নির্যাতন। ঘটনাটি ঘটেছে গতপরশু বুধবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়ে। নির্যাতনের শিকার মাসখানেক আগে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করা এক দম্পতি। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন নির্যাততা গৃহবধূ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওই মামলার এজাহারভূক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দুজন হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহমেদ রাজার ছেলে নাসির হোসেন (৩৬) ও সদর উপজেলার আলুকদিয়া খালপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে মানিকুর রহমান মানিক (৩০)।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার আমলা সদরপুরের এক দম্পতি মাসখানেক আগে চুয়াডাঙ্গার শহরতলীর দৌলাতদিয়াড়ে বাসা ভাড়া নেন। তারপর থেকে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন তারা। গতপরশু বুধবার রাত ৯টার দিকে ওই দম্পতির বাড়িতে হানা দেন আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহমেদ রাজার ছেলে নাসির হোসেন, সদর উপজেলার আলুকদিয়া খালপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে মানিকুর রহমান, দৌলাতদিয়াড় বাদলাপাড়ার পুটু মিস্তির ছেলে রানা মগাসহ কয়েকজন। বিয়ে না করে অবৈধভাবে বসবাস করার অভিযোগ তুলে স্বামীকে বেধড়ক মারধর করেন তারা। তাতেই ক্ষান্ত না হয়ে স্বামী-স্ত্রীকে জোরপূর্বক নগ্ন করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন অভিযুক্ত নাসির ও মানিক। এসময় দম্পতির কাছ থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন রানা মগা। তাদের কাছে দাবি করা হয় আরও ৫০ হাজার টাকা। দাবিকৃত টাকা না দিলে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে সেখান পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শামীম হাসান জানান, গত বুধবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামীয় দুই আসামি নাসির হোসেন ও মানিকুর রহমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকালই তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামি গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More