চুয়াডাঙ্গায় দু’দিন সন্ধ্যারাতে দুটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাঙচুর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতপরশু সোমবার জেলা শহরের শান্তিপাড়ায় এবং গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পাল্টাপাল্টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ থানায় জমা পড়লেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে তৌফিক ওমর রিজন (১৭) হোন্ডা হর্নেট মোটরসাইকেলযোগে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় যান। বাড়ি ফেরার সময় ডিঙ্গেদহ বাজারে রিজনের গতিরোধ করে কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করে মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেন। রিজনের মা রিনা বেগম অভিযোগ করে জানান, ‘চুয়াডাঙ্গা মসজিদপাড়ার সৌরভ, সাকিব, অমিত ও লিওন মিলে আমার ছেলে রিজনকে মারধর করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ব্যাপক ভাঙচুর করে তারা।’ এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে রিজনের মা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে গতপরশু সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের আরামপাড়ার মিরাজুল ইসলামের ছেলে মৃদুল হোসেন সৌরভ (২০) তার অ্যাপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল মেরামতের জন্য শহরের ঈদগাহ মোড়ের (টাটা মোড়) সাজুর গ্যারেজে দেন। গ্যারেজের কর্মচারী হৃদয় মোটরসাইকেলের সমস্যা নির্ণয়ের জন্য বেলগাছি রেলগেটের দিকে যান। এ সময় আকাশ ও রূপক কৌশলে হৃদয়কে মোটরসাইকেলসহ শান্তিপাড়ায় নিয়ে যান। সেখানে হৃদয়কে একটি নিমগাছের সাথে বেঁধে রেখে মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে হৃদয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে হৃদয়কে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মৃদুল হোসেন সৌরভ বাদী হয়ে শান্তিপাড়ার আকাশ, একই এলাকার রূপক, দিপু, রামিমসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনকে অভিযুক্ত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দু’পক্ষের লোকজন জানান, ‘মোটরসাইকেল এমনভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে তা সারানোর মতো ব্যবস্থা নেই।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান বলেন, ‘গত দুদিনে পৃথক দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা দুটি দুইপক্ষের পরিকল্পিত হামলা। পরস্পর কোনো পূর্ব শত্রুতার জেরের কারণে ঘটনা দুটি ঘটে থাকতে পারে। আমরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More