চুয়াডাঙ্গায় ভ্যাপসা গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের লোভোল্টেজ

ডাব তরমুজ স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে : আখের রসে কিছুটা স্বস্তি
স্টাফ রিপোর্টার: সকাল থেকে সারাদিন প্রখর রোদ। সন্ধ্যায় ভ্যাপসা গরম। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এরপর চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লো ভোল্টেজ। ফ্রিজের খাবার নষ্ট হচ্ছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে উচ্চক্ষমতার ফোল্ট স্টাফ লাইজার লাগিয়েও কাজ হচ্ছে না। বৈদ্যুতিন পাখাও ঘুরছে ঝিমে তালে। কবে নাগাদ বৃষ্টি হবে, ফিরবে স্বস্তি তারও কোন পূর্বাভাস মিলছে না। তবে সোমবারের পূর্বাভাসে ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা জানাতে গিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বৃষ্টি/ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
পবিত্র রমজানে রোজায় থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ দিন শেষে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। ডাবের পানি পানে প্রাণ জুড়োবেন তারও যেনো চুয়াডাঙ্গায় জো নেই। ৩০/৪০ টাকার ডাব রাতারাতি বেড়ে ৫০/৬০ টাকা হয়েছে। তরমুজ? চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরের স্বল্প আয়ের মানুষের স্বাদ নেয়া দূরের কথা ছুঁয়ে দেখারও অবস্থা নেই। সড়কের পাশে আখের রস বিক্রেতার দোকানে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বেড়েছে। তবে কেমিকেল দিয়ে তৈরি হরেক নামের শরবত থেকে অধিকাংশই মুখ ফিরিয়েছেন। অসহনীয় গরমের মধ্যে কৃষকদের কাটছে ধান কাটা ঝাড়ার ব্যস্ত সময়। কৃষকদের মধ্যে অবশ্য কালবৈশাখী ঝড়ের আতঙ্ক রয়েছে। ঝড় বৃষ্টির আগে ধান কেটে ঝেড়ে ঘরে তুলতে পারলেই স্বস্তি। এরই মাঝে আবহাওয়ার পুর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেমের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝঅরী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। ৫ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতকালও যশোরে ৩৯ দশমিক ৮ ও সর্বনি¤œ শ্রীমঙ্গলে ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ ও সর্বন্মি ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। গতকালও দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি।
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারে একটু গলা ভিজানোর জন্য মানুষের আখের রস কিনতে ভীড়। শুধু তাই নয় ভ্রাম্যমান শরবতের দোকান গুলোতোও রয়েছে উপচে পড়া ভীড়। প্রতি গ্লাস আখের রস বিক্র করা হচ্ছে ১০ টাকা, এবং এক গ্লাস শরবতের মুল্য ১০ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। রোজাদাররা ইফতারের আগে রস কিনতে ভীড় করছে এ ধরনের ভ্রাম্যমান দোকান গুলোতে। কিছু রোজাদার বলেন ইফতারের তালিকায় একটুকরো তরমুজ থাকলে ভালো হয় কিন্তু তরমুজের দাম আকাশ ছোয়া। তরমুজ যেনো আমাদের মতো মধ্যবিত্ত দের জন্য স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সারা দিন রোজা রেখে ইফতারে একটু গলাটা ভেজানোর জন্য ছুটে আসা এই ভ্রাম্যমান রস ও শরবতের দোকানে। রোজাদার শহিদুল ইসলাম বলেন করকরে রোদে সারাদিন রোজারেখে ইফতারে এক গ্লাস আখের রস খেলে বুকের ভিতরটা শিতল হয়ে যায়। তাছারা আখের রস আগেও যা দাম ছিলো এই রোজার মাসেও তাই আছে দামতো বাড়েনি। অথচ এখন একটা তরমুজ কিনতে গেলে আমাদের মতো দিন মুজুরির সারাদিনের আই দিয়ে কিনতে হবে তাহলে চাল ডাল তেল কি দিয়ে কিনব। এদিকে গতকাল সোমবার বেলা ১১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকায় তরমুজের দোকান গুলোতে তদারকি করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ। তাতে দামে তেমন প্রভাব পড়েনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More