চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ ডাকাতি: অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার-নগদ লুট, পরিবারের সদস্যদের মারধর।

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বনানীপাড়ায় এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত অস্ত্রের মুখে এক পরিবারকে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। ঘটনাটির পর পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী শাবুর আলী (৪৫) পেশায় চাকরিজীবী। ঘটনার সময় তিনি নাইট ডিউটিতে ছিলেন। বাসায় ছিলেন তার স্ত্রী সাবানা (৩৫), মেয়ে জান্নাতি (১৫) ও পরিবারের আরেক সদস্য।

ঘটনার বিবরণে মেয়ে জান্নাতি বলেন, “হঠাৎ ঘুমের মধ্যে একজন এসে আমার ফুবুর মুখ চেপে ধরে। এসময় আমার ঘুম ভেঙে যায় আমি আতঙ্কিত হয়ে জিজ্ঞেস করি, ‘আপনি কে?’ তখন সে বলে, ‘চিল্লাবা না, চিল্লালে তোমার ভুবুকে ছুরি দিয়ে খুন করে ফেলব।’ যাওয়ার আগে তারা হুমকি দেয়—‘যদি কাউকে জানাও, দেখে নেব।

ভুক্তভোগী শাবুর আলীর স্ত্রী সাবানা জানান, দুর্বৃত্তরা তার মুখে চর-থাপ্পড় মেরে জোর করে গহনা ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের হুমকির কারণে তিনি আতঙ্কে অসহায় হয়ে পড়েন।

প্রতিবেশী চুমকি সুলতানা বলেন,“রাতে চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি পরিবারের সবাই কান্নাকাটি করছে। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীদের দাবি, ডাকাতরা ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করেছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদুর রহমান জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ আমি ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে চুরির আলামত পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবার ডাকাতির অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় পুলিশের টহল কার্যক্রম শিথিল হওয়ায় অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা অভিযোগ করে বলেন আগে রাতে নিয়মিত পুলিশ টহল দিত। এখন তা নেই। ফলে ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটছে। আজ এক বাড়িতে হয়েছে, কাল হয়তো অন্য বাড়িতে হবে।”

এদিকে ভুক্তভোগী শাবুর আলী থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে, ২১ আগস্ট রাতে তিনি নাইট ডিউটিতে থাকাকালীন ২২ আগস্ট রাত ২টা ৩০ মিনিটে বেশ কয়েক জন অজ্ঞাত ডাকাত তার বাড়িতে প্রবেশ করে স্ত্রীকে মারধর করে এবং স্বর্ণের চেইন, আংটি, ব্রেসলেট ও রুপার তুড়াসহ প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More