চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগ নেতা রাসেলের বাড়িতে বিস্ফোরণ ; খালাতো ভাই গুরুতর আহত এসপি-ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন : রহস্য উদঘাটনে মাঠে সিআইডি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় মসজিদপাড়ায় যুবলীগ নেতা রাসেলের বাড়ির রান্নাঘরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তারই খালাতো ভাই সিহাব (১৫) গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যুবলীগ নেতা রাসেলের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, এ ঘটনার পরই পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা), জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এটি বোমা নাকি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এটি তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বলতে পারেনি। পুলিশ বলছে, বিশেষজ্ঞ টিম ছাড়া বলা সম্ভব নয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) আলামত সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই বিস্তারিত জানা যাবে। ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা বলছেন, প্রাথমিক আলামত দেখে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ মনে হয়নি। বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের সদস্যরা জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিহাব ও তার খালা (রাসেলের মা) বাড়ির দোতলা বাড়ির ছাদের রান্নাঘরে যান। সেখানে টিনের চালে থাকা একটি ব্যাগ বের করার সময়ই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। আগুনে ঝলসে গুরুতর আহত হয় সিহাব। রান্নাঘরের চালা ও দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুড়ে যায় রান্নাঘরের কিছু আসবাবপত্র। বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয়রা এসে আগুন নেভায়। রাতেই সিহাবকে (১৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। তবে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমিসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দেয়ালে ফাটল ধরেছে। মূলত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটলে আগুনের উপস্থিতি অনেক বেশি থাকতো, পরিদর্শন করে তা মনে হয়নি। আগুনের উপস্থিতি অনেক কম মনে হয়েছে। এছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে সিলিন্ডারের পাইপ, রেগুলেটর ও চুলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে সেগুলো অক্ষত রয়েছে। তবে এখনি কোনো মন্তব্য করা যাবেনা। সিআইডি টিম ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপরই বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা) দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, পরিবারের ভাষ্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। আমিসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেহেতু আমরা বিশেষজ্ঞ নয় তাই সিআইডি টিম ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্তারিত বলতে পারবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.