চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উদযাপনে প্রস্তুতিসভা

ঘরে ঘরে পৌঁছে শহিদ জিয়ার আদর্শ ও আত্মত্যাগের বার্তা দেয়ার প্রত্যয়

স্টাফ রিপোর্টার: মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টায় এবং আলমডাঙ্গা পৌর কার্যালয়ে বেলা ৪টায় পৃথক এ সভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। দুটি প্রস্তুতি সভাতেই প্রধান অতিথি থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন এক অবিসংবাদিত নেতার নাম। তিনি শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক নন, তিনি দেশের রাজনীতিতে নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন। তার শাহাদতবার্ষিকীতে আমাদের দায়িত্ব শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং তার আদর্শ ও ত্যাগকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা। এবারের কর্মসূচি হবে আমাদের দলের জন্য একটি পরীক্ষা। আমরা চাই ৩০ মে আসরের পর চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রতিটি গলিতে, প্রতিটি মোড়ে যেন শহিদ জিয়ার আত্মত্যাগকে স্মরণ করে দোয়া ও খাবার বিতরণ হয়-মানুষের মুখে মুখে যেন শহিদ জিয়ার নাম উঠে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্ডের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এখনও সক্রিয় কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা আজকের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, প্রায় ৯০% উপস্থিতি হয়েছে। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং দলের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের আয়োজনের জন্য যে-সব টাকা দল থেকে দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোথাও কোথাও অর্থ কম হতে পারে, তবে সেই ঘাটতি শহিদ জিয়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই পূরণ করতে হবে।’ তিনি নেতাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘ছাত্রদল, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি এলাকায় তারা মনিটরিং করবে। কাল থেকেই প্রচারণা শুরু করতে হবে, যেন এলাকার মানুষ জানে কোথায় দোয়ার আয়োজন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে চাই শহিদ জিয়ার আদর্শ আজও আমাদের রাজনীতির প্রেরণা। তার আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম আমাদের রাজনৈতিক চেতনার অন্যতম ভিত্তি, আর সেটিই আমরা ৩০ মে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।’ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, যুগ্ম সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান মুক্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মালিক সুজন, জেলা জাসাস সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল হাসান হাজী, সদস্য সচিব মো. আজিজুর রহমান আজিজুলসহ পৌর বিএনপির প্রতিটি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির প্রস্তুতিসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আজিজুর রহমান পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান ওল্টু। সভাটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল ছালাম বিপ্লবসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পৃথক প্রস্তুতিসভায় ঘোষণা করা হয়, আগামী ৩০ মে শহিদ জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি অফিসে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা এবং কালো পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনমিত রাখতে হবে। পতাকার অবমাননা মেনে নেয়া হবে না। এরপর বাদ আছর চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে দোয়া মহফিল ও সর্বসাধারণের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪৪টি পয়েন্টে একই দিন বাদ আছর খিচুড়ি বিতরণ ও দোয়ার আয়োজন করা হবে।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাজি মোড়স্ত টিলু ওস্তাদের অফিসে উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতাদের আয়োজনে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতিসভায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও জেহালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মহি উদ্দিন। পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিমের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মঈনুল হোসেন, মফিজ উদ্দিন, বিল্লাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম শরিফ, আব্দুল মজিদ, জহুরুল ইসলাম, রাশেদুল হাসান লিপু, মঈন উদ্দিন, রফি উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, চিনিরদ্দিন, সিতাব মন্ডল, মনিয়ার ডাক্তার, আশরাফুল, বাদল, আব্দুল সালাম, মজিবুল মাস্টার, রানা মেম্বার, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবীর মুকুল, সোহেল রানা, হাসানুজ্জামান হাসান, মিশকাত, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শামিম রেজা সাগর, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সামিমুুল হাসান সানি, কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আশিকুর রহমান আশিক প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More