স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জয়নুর রহমান (৫০) নামের এক কৃষককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের অবস্থা আংশকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে গোবিন্দহুদায় গ্রামে এ ঘটনা৷
নিহত জয়নুর রহমানে (৫০) গোবিন্দহুদায় গ্রামের মণ্ডলপাড়ার মৃত. ঝড়ু মন্ডলের ছেলে।
আহত তিনজন হলেন, মৃত. ঝড়ু মন্ডলের দুই ছেলে খাজা মণ্ডল (৫৫), জাহির (৪৫) ও খাজা মণ্ডলের ছেলে দিপু (১৮)।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, নূরুল হক পেশকার গ্রুপ ও মাসুদ বিল্লাহ মন্টু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে নুরুল পেশকার তার লোকজন নিয়ে মন্টু গ্রুপের জয়নুরদের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় জয়নুর, দিপু, জাহির ও খাজা আলাদা আলাদা স্থানে কাজ করছিলেন। হামলায় অংশ নেন নুরুল হক ও তার ছেলে আবির, একই গ্রামের নজির, আলী হোসেন, আবুল হোসেন, রুহুল, ইয়ান, রহমান, তারিকসহ আরও কয়েকজন। তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে জয়নুরসহ চারজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রক্তাক্ত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। বেলা পৌনে ১২টার দিকে জয়নুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন বলেন, আহত চারজনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল মারা যায়। আরও একজনের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। আহত সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবীর দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, জমাজমি নিয়ে নুরুল হক পেশকারের লোকজনের চারজনকে কুপিয়ে জখম করে। এরমধ্যে জয়নুরের মৃত্যু হয়। আমরা অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.