চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির মাসিক সভায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

বিনামূল্যে বিচার পাওয়ার পথ দেখাতে প্রচারের বিকল্প নেই
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির মাসিক সভায় গত দুবছর ধরে কার্যক্রম বেগবান হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় আইনগত সহায়তা প্রদানে ৭ম হওয়ার খবর ইতিবাচক। সম্পূর্ণ নিখরচায় আইনগত সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ব্যপকভাবে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল পরিবারের সদস্যদের বিচার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সভার সভাপতি চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিদ্যালয়ের এসেম্বেলিতে এবং মোবাইলফোনের রিংটোনে লিগ্যাল এইড সম্পর্কে সচেতনমূলক প্রচারের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির মাসিক সভা রোববার বিকেল ৪ টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. শামসুজ্জামান। তিনি আইনগত সহায়তা প্রদানের বিষয়টি মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে প্রতি জুম্মার পর প্রচার করার বিষয়টি ইসলামি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান। বলেন, বিভিন্ন গনমাধ্যমেও প্রচার প্রচারণার কাজ অব্যাহত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনেও লাগানো হয়েছে লিগ্যাল এইডের সাইনবোর্ড। তাতে লেখা হয়েছে বিনামূল্যে কীভাবে আইনগত সহায়তা পাওয়া যায়। এসব কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে সচেতনতা বেড়েছে, আইনগত সহায়তা গ্রহণকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা জেল হাজতে বন্দি রয়েছে তাদের মধ্যে যাদের নিখরচায় আইনগত সহায়তা প্রয়োজন তাদেরকেও সহায়তা নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। যারা ভাতা পান তাদের কার্ডেও লিগ্যাল এইড সম্পর্কে সচেতনমূলক সিল মারা হচ্ছে। হাসপাতালের রোগীর টিকেটেও সিল মারার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত থেকে অভিমত ব্যক্ত করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মো. আওলিয়ার রহমান, সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন, জিপি (ভা:) অ্যাড. আশরাফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, জেলা কারাগারের জেলার শওকত হোসেন মিয়া, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা ফেরদৌসী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, ওসিসি সদর হাসপাতালের প্রোগ্রাম অফিসার ইল্লিন সুতানা, ব্র্যাক’র চুয়াডাঙ্গা সমন্বয়কারী ফারুক আহমেদ প্রমুখ। সভার সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা লিগ্যাল এইড’র কার্যক্রমকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাফল্যম-িত করার পুনঃ পুনঃ তাগিদ দেন। বলেন, বিনামূল্যে বিচার পাওয়া যায়, এটা যানাতে হবে। সরকারের দেয়া এ সুবিধি জানাতে হলে প্রচার প্রচারণায় জোর দেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তাছাড়া নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও এ কার্যক্রম বেগবান করা হয়েছে। নব নির্বাচত জনপ্রতিনিধিদেরও এ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা হবে।
সভার সভাপতি উপস্থিত সকলকে আরও আন্তরিকভাবে দায়িত্বপালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার চায় দেশের কোন মানুষ ন্যায় বিচার থেকে যেনো বঞ্চিত না হন। অর্থিকভাবে অস্বচ্ছল সকল নারী পুরুষ ভবঘুরে সকলেই এই সুবিধা নিতে পারেন। দরকার শুধু বিষয়টি তাদের জানানো। এ কমিটির সদস্যরা যতো আন্তরিক হবেন, আইন সহায়তা গ্রহণে মানুষ ততোই এগিয়ে আসবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া নিপিড়িতদের সুবিচার নিশ্চিত করা সমাজের বিবেকবান সকলের দায়িত্বেরই অংশ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More