স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় মশক ও ডেঙ্গু নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ড্রেনে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) ও পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, টিকাদান সুপার ভাইজার আলী হোসেন, কনজারভেটিভ কর্মকর্তা যুবায়ের হোসেন এবং পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মানুষের শারীরিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ড্রেন ও হাটবাজারগুলোতে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ডেঙ্গুর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গত ১৪ জুলাই থেকে প্রতিটি ড্রেনে ও ওয়ার্ডের হাটাবাজারগুলোতে মশক নিধনে ফগার মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করা হচ্ছে। ইতিমেধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকী ৪০ ভাগ কাজ চলমান রয়েছে। বিকেলে মশক নিধনে স্প্রে করা হয়। মশকের বংশ বিস্তার ও প্রজণন রোধ করা সম্ভব হয়। মশক ও ডেঙ্গু নিধনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং সকল রোগ থেকে দূরে রাখার জন্য এ কার্যক্রম। এ কাজে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাও মশা আক্রমন করছে। দিনের বেলা শিশু ও বয়স্কদের জন্য মশারি টাঙ্গিয়ে রাখবো। নিজের ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবো। পৌর এলাকায় মশক ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ করা হবে। সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সবাইকে সচেতন করে সম্মিলিতভাবে কাজ করা হবে। ২০২৪-২০২৫ এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে মশক নিধনে কোন বরাদ্দ নেই। তবে, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে জন দুই লাখ টাকা মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে খরচ করতে পারছি। এরমধ্যে থেকে ৬৫ হাজার টাকার স্প্রে কিনেছি। মাথাবাঙ্গা নদীতে ড্রেনের মাধ্যমে যে স্থান দিয়ে পানির সাথে প্লাস্টিক ভেসে যায়, সেই স্পটগুলো চিহ্নিত করে নেট দেয়ার প্রয়াজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ইনশাআল্লাহ। সকলের সহযোগিতায় পৌরসভার ভালো কাজগুলো করতে চাই।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.