চুয়াডাঙ্গা বারের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর স্মরণে কোর্ট রেফারেন্স ও শোকসভা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. শওকত আলী’র (শওকত মাহমুদ) স্মরণে কোর্ট রেফারেন্স ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কোর্ট রেফারেন্স ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী ও বিচারকবৃন্দের উপস্থিতিতে কোর্ট রেফারেন্সে জেলা জজ জিয়া হায়দার ও অন্যান্য বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি তালিম হোসেনের সঞ্চালনায় জেলা আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. আব্দুল খালেক মরহুম আইনজীবী শওকত আলীর জীবন-বৃত্তান্ত পাঠ করে শোনান। কোর্ট রেফারেন্সে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন আলহাজ আকসিজুল ইসলাম রতন ও দোয়া পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ মো. মোসলেম উদ্দিন।
এরপর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় শোকসভা। জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি তালিম হোসেনের সঞ্চালনায় শোকসভায় সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান, মোল্লা আব্দুর রশিদ ও এমএম শাহজাহান মুকুল, সাবেক সেক্রেটারি এসএম রফিউর রহমান, সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম ও সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম, বেলাল হোসেন-পিপি, শহিদুল হক (২), রফিকুল আলম রান্টু ও মরহুমের ছোট ছেলে শরীফ মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। শোকসভায় বারের সহ-সভাপতি কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম-সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রাসেল ও আসলাম উদ্দিন (২) এবং জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শোকসভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন আলহাজ আকসিজুল ইসলাম রতন ও দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ মোসলেম উদ্দিন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামে অ্যাড. শওকত আলী ১৯৪৩ সালের ২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে এসএসসি, ১৯৬২ সালে কুষ্টিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৬৪ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর বার কাউন্সিল হতে এনরোলমেন্ট প্রাপ্ত হন এবং চুয়াডাঙ্গা বারে যোগদান করেন। তিনি দুই পুত্র সোহেল মাহমুদ ও শরীফ মাহমুদ এবং দুই মেয়ে রুমানা নাজ ও সুমনা নাজসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রাশিদা বেগম কয়েক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
অ্যাড. শওকত আলী মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের ডোমপুকুর থানার ক্যাম্প ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, অ্যাড. শওকত আলী সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমাজে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত মিষ্টভাষী, সদালাপী এবং আইনপেশায় সফল ব্যক্তি ছিলেন। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত, তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি এই মহান আইনজীবীকে চিরকাল কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More