চুয়াডাঙ্গা শহরের জোয়ার্দ্দারপাড়ায় যুবতীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মৃত্যুর রহস্য উম্মোচনে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হয়েছে লাশ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জোয়ার্দ্দারপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে তিশা রহমান (১৮) নামে এক যুবতীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। নিহত তিশা রহমান ওই এলাকার বাবুল আক্তারের মেয়ে। পরিবারের দাবি, বিকেলে কোনো এক সময়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিশা রহমান এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য পরিবারের সদস্যরা দিতে পারিনি। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, তিশা রহমান পঞ্চম শেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। এরপর আর পড়েনি। বাড়িতেই থাকতো তিশা। গতকাল বিকেলে বাড়ির বাইরে তাকে দেখা গেছে। সবার সাথেই হাসিখুশি ও ভালোমতো কথা বলেছেন। হঠাৎ সন্ধ্যার পর শুনছি তিশা আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি আমরা শুনে হতবাক হয়েছি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানায়, বিকেলে দুর্গাপূজার প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় কিংবা স্থানীয় বখাটেদের মাধ্যমে ইভটিজিংয়ের শিকার হতে পারে তিশা রহমান। যা অশালীন মন্তব্যের জেরে সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে সে। তারা আরও বলেন, পুলিশ যদি সুষ্ঠু তদন্ত করে তাহলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।
এদিকে গতকাল রাতে সদর থানায় অফিসার ইনচার্জসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। গ্রহনযোগ্য উত্তর দিতে না পারায় মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেনি পুলিশ। আজ শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৌরভ হোসেন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিশাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তার গলায় একটি লালচে দাগের আলামত পাওয়া গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, মরদেহটি সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে পরিবারের নিকট থেকে গ্রহণযোগ্য কোনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। আজ শনিবার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More