চুয়াডাঙ্গা শহরে প্রধান সড়কের মাঝখানে দুটি কড়ইগাছ : বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দুটি কড়ইগাছ সাধারণের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো গাছ দুটি প্রধান সড়কের মাঝখানে পড়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে যেমন ঝুঁকি দেখা দিয়েছে, তেমনি সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি করছে। কয়েক বছর আগেই গাছ দুটি অপসারণের দাবি উঠলেও সড়ক বিভাগ ও জেলা পরিষদের চিঠি চালাচালির মধ্যেই থমকে আছে।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শহরের রাস্তা ডবল লেন করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে শহরের রেলবাজার এলাকায় প্রধান সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে দুটি কড়ইগাছ। রেলবাজারের ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘শহরের ব্যস্ততম এই রাস্তা বেশ কয়েক বছর আগে ডবল লেনের করা হয়েছে। কিন্তু রেলবাজার এলাকার দুটি কড়ইগাছ রাস্তার প্রায় মাঝখানে পড়েছে। এ কারণে এখানে তা করা সম্ভব হয়নি। রাস্তায় যখন একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে ওভারটেক করতে যায় তখন গাছ দুটির কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়ে। তাছাড়া প্রায়ই দুর্ঘটনার কাছাকাছি অনেক ঘটনাই ঘটে এখানে। বিশেষ করে গরমের সময় পথচারী ও সাধারণ মানুষ গাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নেয়। এ সময় রাস্তা আরও সংকুচিত হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বাড়ে, তেমনি দুর্ভোগ ও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি গাছ দুটির কারণে সড়কে প্রচ- জ্যাম হয়। পার্শ্ববর্তী এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, ‘প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো গাছটি রাস্তা থেকে অপসারণ খুবই প্রয়োজন। গাছ দুটি বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করছে।’ এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘গাছ দুটি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের। এ কারণে আমরা কাটতে পারছি না। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়ে আসছি। কিন্তু তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন বুঝতে পারছি না। তবে গাছ দুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে। যে কোনো সময় বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’ এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন বলেন, ‘আমরাও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ দুটি নিয়ে বেকায়দায় আছি। চিঠি করা হয়েছে। রেজুলেশনও করা হয়েছে। শিগগিরই গাছ দুটি কাটার প্রক্রিয়া শুরু করবো।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More