চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে কিশোর দালাল আটক : মুচলেকায় মুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারে নেয়ার সময় এক কিশোর দালালকে আটক করে স্থানীয়রা। আটক শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট ওই কিশোরকে হস্তান্তর করা হয়। পরে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন ঘটনাস্থলে কিশোরকে সর্তক করাসহ অপ্রাপ্তবয়স ও ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শ্যাকরাতলা মোড়ের হাফিজুর রহমানের মেয়ে শামসুন্নাহার দীর্ঘদিন যাবত পেট ও মাজার ব্যথায় ভুগছেন। গতকাল সকালে মা আদুরি বেগমের সাথে শামসুন্নাহার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বহির্বিভাগের চিকিৎসা নেন এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার করতে বলেন। এসময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের প্রতিনিধি (কিশোর) ওই রোগীদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে সদর হাসপাতালের মধ্যেই স্থানীয়রা রোগীসহ ওই কিশোরকে ধরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরএমও’র নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে রোগীকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং দালাল আশিককে সদর হাসপাতালের নিয়োজিত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত শোনেন। পরে আশিকের বয়স বিবেচনা মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, সদর থানা পুলিশের উদ্যোগে হাসপাতালে দালালমুক্ত করা হচ্ছে। তাদের কোনো ছাড় নেই। অপ্রাপ্তবয়স হওয়ায় ওই কিশোরকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যেম পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, হাসপাতালে কোনো দালালের ঠাঁই নেই। এখন বেশিরভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালেই সম্ভব। হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানো অপরাধ। দালাল নির্মূলে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More