চুয়াডাঙ্গা সহকারী স্টেশন মাস্টার ফারহানার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগ : হয়রানির শিকার যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে যাত্রীদের নিকট ভুল তথ্য সরবরাহ করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্টেশনজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগী যাত্রী স্টেশন মাস্টারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন পৌঁছানোর সঠিক সময়। ২০ মার্চ সকাল ৯টার দিকে কয়েকজন যাত্রী স্টেশন মাস্টারের কক্ষে থাকা সহকারী স্টেশন মাস্টার ফারজানার নিকট এ ট্রেনটি বিলম্ব আছে কিনা জানতে চান। তিনি দুপুর ১২ থেকে সাড়ে ১২টার পর খোঁজ নিতে বলেন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন ফিরে এসে জানতে পারেন বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন অতিক্রম করেছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এমন ঘটনা ন্যাক্কারজনক বলে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে। এই সাথে ভুক্তভোগীরা আইনগতভাবে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগকারী লিখন বলেন, ২০ মার্চ সকাল ৯টার আমার বয়োবৃদ্ধা খালাকে রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে সৈয়দপুর যাওয়ার উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন পৌছায়। এসময় ট্রেনটি কত সময় বিলম্ব আসছে জানতে চাইলে সহকারী স্টেশন মাস্টার নাসরিন ফারহানা দুপুর ১২টার পর চুয়াডাঙ্গা স্টেশন পৌছাবে বলে জানান। এসময় বয়োবৃদ্ধা খালাকে নিয়ে বাড়ি ফিরি। ১১টার দিকে জানতে পারি ট্রেনটি অল্প সময়ের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে পৌছাবে। স্টেশনে পৌছে দেখি ট্রেনটি দাঁড়িয়ে আছে। কোনো রকম তাড়াহুড়ো করে খালাকে ট্রেন উঠিয়ে দিই।
আরেক যাত্রী ফরিদা বেগম জানান, ২০ মার্চ সকাল ৯টার পর আমি ও আমার মেয়ে জাকিয়া সৈয়দপুর যাওয়ার উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন আসি। সহকারী স্টেশন মাস্টার নাসরিন ফারহানার নিকট ট্রেনটির বিষয়ে জানিতে চাইলে ট্রেনটি লেট আছে বলে জানান। দুপুর সাড়ে ১২টার পর আবার খোঁজ নিতে বলেন। এতো সময় স্টেশনে না থেকে বাড়ি ফিরে যায়। পরে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা স্টেশন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এরপর স্টেশনের কাউকে কিছু বলেও লাভ হয়নি। আমাদের কোনো ভুল ছিলো না। সহকারী স্টেশন মাস্টারের কথা শুনে ট্রেনটি মিস করলাম। এমন হয়রানি যেন কোনো যাত্রী না হয় এ জন্য দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমিই না। স্টেশনে বেশ কয়েকজন যাত্রী ওই স্টেশন মাস্টারের কথা শুনে আমার মতো হয়রানির শিকার হয়েছেন। আর টিকেটের টাকাও কেউ পাইনি। পরে ওই স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে যাত্রীদের হয়রানির জন্য একটি লিখিত অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে নাসরিন ফারহানা বলেন, যাত্রীদের অভিযোগটি সঠিক নয়। তারা মনগড়া অভিযোগ করেছেন। একজনের দেখে অপরজনও অভিযোগ দিয়েছে। এক যাত্রী জিজ্ঞাসা করায় আমি এক ঘণ্টা পর খোঁজ নিতে বলেছিলাম। দুপুর ১২টা কিংবা সাড়ে ১২টার কথা কোনো যাত্রীকে জানানো হয়নি। চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে ভুক্তভোগী যাত্রীদের দেয়া একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More