চড়া দামে চালকুমড়ো বিক্রি

দামুড়হুদা অফিস: গায়ের বধূদের বসতভিটায় লাগানো চাল কুমড়ো এখন চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে। শীতের ভরা মরসুমে চাল কুমড়োর চাহিদা বেড়ে যায়। এজন্য এই চাল কুমড়ো বেশি দরে বিক্রি হয়।
জানা গেছে, গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিশেষ করে রান্না ঘরের পেছনে বর্ষা মরসুমে চাল কুমড়ার চারা জোগাড় করে লাগিয়ে থাকে গায়ের বধূরা। চারা বড় হলেই রান্না ঘরের চালে তুলে দেয়া হয়। এই গাছ থেকেই প্রচুর পরিমাণে কুমড়ো ধরে। তরি-তরকারির সমস্যা দেখা দিলে ছোট চাল কুমড়ো রান্না করে খাই। বিক্রির জন্য বড় করা হয়। সবুজ থেকে কুমড়ার রঙ চুনের আকার ধারণ করলে তখনি বিক্রি করার উপযোগী হয়। এই কুমড়ো এখন হাটে বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। শীতের মরসুমে ডালের সাথে কুমড়ার মিশ্রণে বড়ি দিয়ে থাকে। এজন্য এর প্রচুর চাহিদা বেড়ে যায়। এখন রান্না ঘর ছাড়াও মাচা-বাড়ির আঙিনার বেড়ায় এসব কুমড়ার চারা লাগিয়ে থাকে। সাইজ অনুপাতে বড় কুমড়া গুলো ১০০-১২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামে দাম একটু কম হলেও শহরের হাট বাজার গুলোতে চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে। কুমড়ার বড়ি একটি শুকনো জাতীয় তরকারি। এটি এক বছর ধরে সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। সব মানুষের পছন্দের তরকারি। মাংশ বাদে মাছ ও সব সবজির সাথে বড়ি রান্না করা যায়। বড়ি স্বাস্থ্য সম্মতখাদ্য। গায়ের বধুরা কুমড়ার বড়ি তৈরি করে থাকে। এবং শুকনা বড়ি বাজারেও বিক্রি হয়ে থাকে। দামুড়হুদার সাফায়েত হোসেন জানান, তাদের রান্না ঘরের চালে একটি কুমড়া গাছে প্রায় দেড় শতাধিক কুমড়া হয়ে ছিলো। প্রায় সবই বিক্রি করে দিয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More