জরুরী বিভাগ থেকে রোগী ভাগিয়ে বহিঃবিভাগে : পরীক্ষা করানোর পর কৌশলে সটকে পড়লো জাহিদ 

স্টাফ রিপোর্টার: জরুরী বিভাগের টিকেটসহ রোগী নিয়ে দেখানো হয়েছে বহিঃবিভাগের এক চিকিৎসককে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে নগদ ৫শ’ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। ভুক্তভোগী ওই রোগী বলেছেন, জরুরী বিভাগে ঢোকার সময় এক যুবক গিয়ে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে নিয়ে যায় বহিঃবিভাগের চিকিৎসকের কাছে। পরে ৫শ’ টাকা নিয়ে এক্স-রে ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানোর পর সটকে পরে ওই যুবক। এদিকে, হাসপাতালের কর্মরত না হয়েও ওই যুবক জাহিদ জরুরী বিভাগের টিকেট কোথায় পেলো এ প্রশ্ন স্থানীয়দের মধ্যে।

ওই রোগী অভিযোগ করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দত্তাইল গ্রামের রহিমা খাতুনের পায়ে গত রোববার চোঁট লাগে। চিকিৎসার জন্য গতকাল মঙ্গলবার সদর হাসপাতালে যান তিনি। জরুরী বিভাগে ঢোকার সময় জাহিদ নামের এক যুবক ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বহিঃবিভাগের ডা. আনিসুর রহমান টিপনের কাছে নিয়ে যায়। জাহিদ নিজেই জরুরী বিভাগের একটি টিকেট সংগ্রহ করে। ডা. টিপন রেজিস্ট্রেশন বিহীন ওই টিকেটে এক্স-রে ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানোর পরামর্শ লিখে দেন। এরপর জাহিদ ওই রোগীর কাছ থেকে ৫শ’ টাকা নিয়ে গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে দেয়। এরপরই কৌশলে সটকে পড়ে জাহিদ। পরে হাসপাতালে গিয়ে অনেক খোঁজাখুজির পরও জাহিদকে না পেয়ে একপর্যায়ে কান্নাকাটি শুরু করেন রোগী রহিমা খাতুন। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাকে জরুরী বিভাগে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে ডা. আনিসুর রহমান টিপন বলেন, জাহিদ নামের এক ছেলে তার আত্মীয় পরিচয়ে এক রোগী নিয়ে আসে। তাড়াহুড়োর মধ্যে তার কাছে জরুরী বিভাগের টিকেট ছিলো কিনা খেয়াল করিনি।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের জরুরী বিভাগে বর্তমানে দালালের দৌরাত্ম বেড়েছে বলে শুনেছি। দালাল নির্মূল করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More